নীরবতায় কি প্রধানমন্ত্রীর প্রতিবাদের ভাষা? বাংলাদেশ আবহে ইসকন মন্দিরের উদ্বোধন মুম্বইয়ে

সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময়, প্রথমেই তাঁর মুখে শোনা যায় “হরে কৃষ্ণ” ধ্বনি।

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
sesfgh

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: এই মূহুর্তে বাংলাদেশ উত্তাল হিন্দুত্ববাদের বিরুদ্ধে। সেখানে ক্রমাগত নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সংখ্যালঘু হিন্দুরা। বাদ যাচ্ছে না ইসকন মন্দিরও। ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে জেলে বন্দী করে রাখা হয়েছে। এমনকি এই ইসকনের বিরুদ্ধে উঠছে বিচ্ছিন্নতাবাদের স্লোগানও। এমন অবস্থায় এই দেশে এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম ইসকন মন্দিরের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বুধবার রয়েছেন মুম্বই সফরে। আর এখানেই খারঘরে ইসকন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত শ্রী শ্রী রাধা মোহন মন্দিরের উদ্বোধন করলেন মোদী। অনুষ্ঠান চলাকালীন, তিনি মন্দিরের স্থাপত্যের আধ্যাত্মিকতা এবং বিজ্ঞানের মিশ্রণের উপর জোর দেন এবং এই ধরনের একটি ঐশ্বরিক অনুষ্ঠানের অংশ হওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

GhOaZGhXcAAwza8

সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময়, প্রথমেই তাঁর মুখে শোনা যায় “হরে কৃষ্ণ” ধ্বনি। তারপর প্রধানমন্ত্রী ইসকনের গোটা বিশ্ব জুড়ে করে চলা সেবার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাঁদের জ্ঞান ও ভক্তির পবিত্র ভূমিতে ইসকনের প্রচেষ্টার তাৎপর্য তুলে ধরেন সকলের সামনে।

মন্দিরটিতে দেবতার বিভিন্ন রূপ উপস্থাপন করা হয়েছে, যা আধ্যাত্মিক জ্ঞানের জন্য একটি স্থান তৈরি করে। তরুণ প্রজন্মকে কাছে টানতে, মহাভারত এবং রামায়ণের উপর ভিত্তি করে একটি জাদুঘর রয়েছে। একই সাথে বৃন্দাবনের ১২টি বন দ্বারা অনুপ্রাণিত একটি বাগানও তৈরি করা হয়েছে।

এদিন এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই মন্দিরটি কেবল বিশ্বাসের কেন্দ্র হিসাবে কাজ করবে না, ভারতের চেতনাকেও সমৃদ্ধ করবে। বিশ্বব্যাপী ইসকনের ভক্তরা ভগবান কৃষ্ণের প্রতি তাদের অটল ভক্তির দ্বারা সংযুক্ত। একটি অনন্য আধ্যাত্মিক মাত্রা তারা বহন করে। যা তাদেরকে এক করে রাখে”। 

GhOaaPoW0AArg7X

একই সাথে মোদী এও বলেন, “ভারত ভৌগোলিক সীমানা দ্বারা আবদ্ধ শুধুমাত্র একটি ভূমির টুকরো নয়। এটি একটি জীবন্ত, প্রাণবন্ত সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য বহন করে। এই সংস্কৃতির চেতনা তার আধ্যাত্মিকতার মধ্যে নিহিত। ভারতকে সত্যিকারে বুঝতে গেলে, একজনকে প্রথমে এর আধ্যাত্মিক সারমর্ম গ্রহণ করতে হবে। যারা শুধু খালি চোখে বিশ্বকে দেখেন তারা ভারতকে বিভিন্ন ভাষা এবং অঞ্চলের নিছক সংগ্রহ হিসাবে দেখতে পারেন। কিন্তু যখন কেউ ভারতের সাংস্কৃতিক চেতনার সঙ্গে যুক্ত হয়, তখন এর বিশাল একীভূত রূপ স্পষ্ট হয়ে ওঠে”। 

যখন ইসকন নিয়ে বাংলাদেশে ব্যাপক হারে উত্তেজনা দেখা যাচ্ছে, তখন মোদীর এই ভাবে ইসকন মন্দির উদ্বোধন বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।