কেন্দ্রীয় সরকারের বড় পদক্ষেপ! প্রতি মাসে কৃষকদের ৩০০০ টাকা করে পেনশন

কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কৃষকদের জন্য একটি নতুন প্রকল্প শুরু করে হয়েছে। যার মাধ্যমে তাঁরা বার্ধক্যকালীন পেনশনের সুযোগ সুবিধা পাবে।

author-image
Probha Rani Das
New Update
kisanq1.jpg

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ দেশের মানুষের সুবিধার্থে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বহু প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এবার কেন্দ্রীয় সরকারের এক বিশেষ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতি মাসে তিন হাজার টাকা করে পাওয়া যেতে পারে। দেশের সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করেই কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্প শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্পটি হল কিষাণ মানধন যোজনা। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বহু মানুষ উপকৃত হবে। বিভিন্ন রকমের সুবিধাও পাবে দেশের মানুষ।

kisanq2.jpg

কেন্দ্রীয় সরকারের কিষাণ মানধন যোজনার সুবিধা পেতে আবেদন করতে হবে। কীভাবে এবং কারা এই আবেদন করতে পারবেন, জেনে রাখুন।

কেন্দ্রীয় সরকারের কিষাণ মানধন যোজনা হল সম্পূর্ণ কৃষকদের জন্য একটি প্রকল্প। দেশের প্রান্তিক অঞ্চলে কৃষকদের বার্ধক্যকালীন সুযোগ-সুবিধা এবং নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই প্রকল্পের শুরু হয়েছে। ৬০ বছর কিংবা তার বেশি বয়সী কৃষকরা এই প্রকল্পের মাধ্যমে সুবিধা ভোগ করতে পারবে। প্রতি মাসে ৬০ বছর বয়সী কৃষকদের ৩০০০ টাকা করে পেনশনের সুবিধা দেবে এই প্রকল্প। এটি ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সের কৃষকদের জন্য স্বেচ্ছাসেবী এবং অবদানকারী এবং 60 বছর বয়স অর্জনের পরে তাদের মাসিক ৩০০ টাকা পেনশন প্রদান করবেকোনো কৃষকের মৃত্যু হলে সেই কৃষকের স্ত্রী এই যোজনার টাকা অনুযায়ী ৫০ শতাংশ করে টাকা পাবে।

farmers2.jpg

প্রধানমন্ত্রী কিষাণ মানধন যোজনা প্রকল্পে আবেদন করতে হলে একজন ব্যক্তিকে ন্যূনতম ১৮ বছর বয়স হতে হবে। এই প্রকল্পের জন্য ১৮ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে আবেদন করা যাবে। এই প্রকল্পটির জন্য প্রথমে কৃষকদের একটি তহবিলে সাবস্ক্রাইব করতে হবে। ২৯ বছর বয়সে ১০০ টাকা করে কৃষকরা সেখানে জমা দেবেন। কেন্দ্রীয় সরকার এই টাকা জীবন বীমা কর্পোরেশনের দ্বারা পরিচালিত হওয়া একটি পেনশন স্কিমের তহবিলে জমা করতে থাকবে

potato farmers (1).jpg

সম্প্রতি, কিষান মানধন যোজনায় ১৯ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫৮৮ জন কৃষক নাম নথিভুক্ত করেছে। এক্ষেত্রে কৃষকদের আবেদন করার জন্য প্রথমে কমন সার্ভিস সেন্টারে যেতে হবে। এরপর একটি আধার কার্ড এবং আইএফএসসি কোড সহ সেভিংস ব্যাংক একাউন্টে নম্বর প্রদান করতে হবে। আবেদনকারীকে আধার কার্ড, গ্রাহকের নাম এবং জন্ম তারিখ ভালো করে যাচাই করতে হবে। গ্রাম পর্যায়ের অফিস থেকে অনলাইনে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে হবে। এরপর ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ডিটেলস মোবাইল নম্বর এবং ইমেল আইডি দিতে হবে।