একদিকে আগুন, অন্যদিকে কান্না তার মাঝে চুরি-ছিনতাই! করমণ্ডল দুর্ঘটনার অন্য ছবি

যে কোনও দুর্ঘটনা হলেই হাহাকার, চিৎকার, কান্না, আতঙ্ক এগুলো স্বাভাবিকভাবেই আমরা কল্পনা করতে পারি। কিন্তু করমণ্ডল দুর্ঘটনা চোখ খুলে দেবে আপনার। এগুলোর বাইরে একটা ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মাঝেও অমানবিকতার বিরল নজির।

author-image
Anusmita Bhattacharya
New Update
cor3

নিজস্ব প্রতিনিধি: শুক্রবার সন্ধ্যায় হঠাৎ আগুন আর ধোঁয়ায় ঢেকে গেলো চারপাশ। ট্রেন তখন বালাসোরে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ততক্ষণে শুরু হয়ে গেছে হাহাকার, ছোটাছুটি। সুকন্যা বেরা ছিলেন A1 কামরায়। শোনালেন তাঁর ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার টুকরো কাহিনী। 

করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ভয়ানক দুর্ঘটনার পর আতঙ্ক তৈর হয়েছে দেশজুড়ে। হাজার হাজার মানুষ অপেক্ষায় নিজের প্রিয়জনদের বাড়ি ফিরে আসার। কেউ কেউ চিরতরে নিজের প্রিয়জনকে হারানোর খবর পেয়েছেন। সুকন্যা ছিলেন নিজের কন্যার সঙ্গে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁর প্রথম চিন্তা ছিল মেয়ে সুস্থ আছে তো? সৌভাগ্যবশত সুকন্যা দেবী এবং তাঁর কন্যা সুস্থ। তবে যে ভয়ানক এবং তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি সেটার পর মানবিকতা, মনুষ্যত্ব শব্দগুলির উপর থেকে এক মুহূর্তের জন্য হলেও বিশ্বাস উঠে যাবে আপনারও।

জানলা দিয়ে দেখেন আগুন জ্বলছে, বহু মানুষ পড়ে রয়েছেন রক্তাক্ত অবস্থায়, স্থানীয় মানুষ হাতড়ে হাতড়ে খুঁজে দেখছেন কেউ জীবিত আছেন কিনা। আর তার মাঝেই মানবিকতার বিন্দুমাত্র চিন্তা না করেই কেউ কেউ খুঁজে বেড়াচ্ছে সোনা, টাকা-পয়সা। পড়ে থাকা মানিব্যাগ থেকে ৫০০- র নোট নিয়ে কেউ পালাচ্ছে, আবার কোনও এক যুবক পড়ে থাকা মহিলার গলায় জমে থাকা রক্তবিন্দু মুছে চেন খুলে নিয়ে পালাচ্ছে। চোখ-মুখের আনন্দ বলছে যেন খুঁজে পেয়েছে কোনও গুপ্তধন। লোভ আজ কোথায় দাঁড় করিয়েছে সমাজকে? প্রশ্ন রাখল এই অভিজ্ঞতা।