জ্বলছে মায়ানমার, আঁচ পড়ছে মনিপুর ও মিজোরাম সীমান্তে

মায়ানমারের পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে। বিদ্রোহীরা মায়ানমারের রাখিন প্রদেশের একাধিক অঞ্চল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এই পরিস্থিতি সীমান্ত পেরিয়ে মায়ানমারের মানুষ মিজোরাম ও মনিপুর সীমান্তে প্রবেশ করছেন।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
মায়ানমারের পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে। বিদ্রোহীরা মায়ানমারের রাখিন প্রদেশের একাধিক অঞ্চল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এই পরিস্থিতি সীমান্ত পেরিয়ে মায়ানমারের মানুষ মিজোরাম ও মনিপুর সীমান্তে প্রবেশ করছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা:  নতুন করে অশান্ত হয়ে উঠেছে মায়ানমার। জুন্টার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী সংগঠন আরকান আর্মি সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করেছে। মায়ানমারে ভারত সীমান্ত সংলগ্ন চিন প্রদেশে বিদ্রোহীরা ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। জানা গিয়েছে, জুন্টা বাহিনীর প্রায় ২৮ জন পুলিশকর্মী বিদ্রোহী সংগঠন আরকান আর্মির কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অন্যদিকে পশ্চিম মায়ানমারের রাখিন প্রদেশে স্বতন্ত্র শাসন ব্যবস্থা গড়়ে তোলার দিকে এগোচ্ছে বিদ্রোহী সংগঠনগুলো। এই পরিস্থিতি মায়ানমারের সাধারণ মানুষ আশ্রয়ের খোঁজে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করতে শুরু করেছেন। ভারত-মায়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকায় সম্প্রতি জুন্টা বাহিনী বিমান হামলা চালায়। এরপরেই মায়ানমারের নাগরিকরা মিজোরামের জোখাওতার এলাকায় আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন। 

 

 

মায়ানমারে মূলত তিনটি সংখ্যালঘু বিদ্রোহী গোষ্ঠী রয়েছে। তারমধ্যে আরকান আর্মি অন্যতম। অক্টোবরের শেষের দিক থেকে আরকান আর্মি জুন্টা সরকারের বিরুদ্ধে  বিদ্রোহ ঘোষণা করে। এই বিদ্রোহে সব থেকে বেশি প্রভাব পড়েছে পশ্চিম মায়ানমারের রাখিন প্রদেশে। বর্তমানে রাখিন প্রদেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। রাখিন প্রদেশের একাধিক সেনা ছাউনিতে আরকান আর্মি হামলা করেছে। বিদ্রোহে পাল্লা ভারি আরকান আর্মির দিকে। ইতিমধ্যে আরকন আর্মির কাছে জুন্টা বাহিনীর ২৮ জন পুলিশকর্মী আত্মসমর্পণ করেছেন। ১০ জনকে আরকান আর্মি গ্রেফতার করেছে। 

মায়ানমারে রাখিন প্রদেশের পাশাপাশি চিন প্রদেশেও জরুরি অবস্থা জারি করেছে। রাস্তাতে সাধারণ মানুষের চলাফেরা একেবারে নিষিদ্ধ। রাজপথে শুধু জুন্টা বাহিনীর সাঁজোয়া গাড়ি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। তবে একাধিক জায়গা ইতিমধ্যে আরকান আর্মি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে। ২০২১ সালে আন সাং সু কিকে গৃহবন্দি করে জুন্টা বাহিনী। সমগ্র ক্ষমতা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনে। সেই সময় মায়ানমারের সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ দেখালেও  জুন্টা বাহিনীর ক্ষমতার কাছে তাঁরা পেরে ওঠেনি।