নিজস্ব সংবাদদাতাঃ পাটনা হাইকোর্ট তাৎক্ষণিকভাবে বিহারে জাতিগত আদমশুমারি নিষিদ্ধ করেছে। বিহারে জাতিগত আদমশুমারি নিষিদ্ধ করার আবেদনের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার পাটনা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এই রায় দেন। গত তিন দিন ধরে পাটনা হাইকোর্টে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক চলছিল। মঙ্গলবার আবেদনকারীর আইনজীবী বলেন, জাতিগত আদমশুমারি করার সরকারের সিদ্ধান্ত নাগরিকদের গোপনীয়তার লঙ্ঘন। অ্যাডভোকেট জেনারেল পি কে শাহি সরকারের পক্ষে যুক্তি দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলোর সুফল জনগণের কাছে পৌঁছানোর জন্য জাতিগত আদমশুমারি প্রয়োজন।
এরপর পাটনা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বিনোদ চন্দ্রনের বেঞ্চ বুধবার রায় সংরক্ষিত রাখে। এবং এখন বৃহস্পতিবার পাটনা হাইকোর্ট অবিলম্বে এটি নিষিদ্ধ করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দিয়েছে। আগামী ৩ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
এর আগে নালন্দার অখিলেশ কুমার জাতিগত আদমশুমারি নিষিদ্ধ করার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট তখন আবেদনকারীকে পাটনা হাইকোর্টে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল এবং বলেছিল যে তিনি যদি পাটনা হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত না হন তবে তিনি সুপ্রিম কোর্টে আসতে পারেন। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট পাটনা হাইকোর্টকে দ্রুত শুনানি শেষ করে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। এরপর পাটনা হাইকোর্ট এই মামলার শুনানির সময় তৎক্ষণাৎ জাতিগত আদমশুমারি নিষিদ্ধ করে দেয়। আদালত সরকারকে এখন পর্যন্ত করা গণনার তথ্য সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছে।
পাটনা হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের কয়েক ঘন্টা আগে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বলেছিলেন যে জাতিগত আদমশুমারি সকলের স্বার্থে।