নিজস্ব সংবাদদাতাঃ পাকিস্তান সমর্থিত সন্ত্রাসবাদী ষড়যন্ত্র মামলায় মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মীরের ১২টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। এনআইএ জানিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়েছে।
এর মধ্যে ১১টি জায়গা কাশ্মীর উপত্যকায় অবস্থিত (পুলওয়ামা জেলায় আটটি, কুলগাম, অনন্তনাগ ও বুদগাম জেলায় একটি করে), জম্মুর পুঞ্চ জেলায় একটির কাজ চলছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরে স্টিকি বোমা, ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) এবং ছোট অস্ত্র দিয়ে সহিংস সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর পরিকল্পনার সঙ্গে সম্পর্কিত এই মামলাটি শারীরিক এবং সাইবার স্পেস উভয় ক্ষেত্রেই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত।
এনআইএ বলেছে, জম্মু ও কাশ্মীরে সাম্প্রদায়িক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য স্থানীয় যুবক ও ওভারগ্রাউন্ড কর্মীদের সহযোগিতায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে এই পরিকল্পনা করা হয়েছে। লস্কর-ই-তৈবা( এলইটি), জইশ-ই-মহম্মদ (জেইএম), হিজবুল মুজাহিদিন (এইচএম), আল-বদর, আল-কায়েদা এবং অন্যান্য সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিো এই ষড়যন্ত্রে জড়িত বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।
'দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ)', 'ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর (ইউএল জে-কে)', 'মুজাহিদিন গাজওয়াত-উল-হিন্দ (এমজিএইচ)', 'জম্মু ও কাশ্মীর ফ্রিডম ফাইটারস (জেকেএফএফ)', কাশ্মীর টাইগার্স, পিএএএফ এবং অন্যান্য ছদ্মনামে পরিচালিত এই সংগঠনগুলোর সহযোগী এবং শাখাগুলোর সঙ্গে যুক্ত ক্যাডার এবং হাইব্রিড ওভারগ্রাউন্ড কর্মীদের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়েছিল।
এনআইএ-র প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, এই কর্মী ও ক্যাডাররা স্টিকি বোমা বা চৌম্বকীয় বোমা, আইইডি, নগদ টাকা, মাদক দ্রব্য এবং ছোট অস্ত্র সংগ্রহ ও বিতরণের সঙ্গে জড়িত ছিল।