'চাঁদের উদ্দেশ্যে আমাদের যাত্রা শুরু হল', জানালেন ISRO প্রধান

ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে সফলভাবে চাঁদে দেশের তৃতীয় মিশন চন্দ্রযান-৩ (চন্দ্রযান-৩) উৎক্ষেপণ করেছে। এই মিশনের উদ্দেশ্য একটি রোভারের সাহায্যে চাঁদের চন্দ্র পৃষ্ঠ আবিষ্কার করা।

author-image
SWETA MITRA
New Update
isro s som.jpg

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ আজ শুক্রবার ১৪ জুলাই চাঁদে উচ্চাভিলাষী চন্দ্রযান-৩ মিশন চালু করেছে ভারত। মহাকাশযানটি ভারতের সবচেয়ে ভারী রকেট, লঞ্চ ভেহিকল মার্ক -৩ (এলভিএম ৩) এর মাধ্যমে চাঁদের দিকে যাত্রা শুরু করেছে। এদিকে ইসরো তার সফল উৎক্ষেপণের জন্য সমস্ত দিক থেকে অভিনন্দন পাচ্ছে। এদিকে এই প্রসঙ্গে ইসরো প্রধান এস সোমনাথ জানিয়েছেন, ‘চন্দ্রযান-৩ চাঁদের দিকে যাত্রা শুরু করেছে। মহাকাশযানটি পুরোপুরি ঠিক আছে। এলভিএম-৩এম৪ রকেট চন্দ্রযান-৩-কে সুনির্দিষ্ট কক্ষপথে স্থাপন করেছে।‘

সফলভাবে উৎক্ষেপণ হয়েছে চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3)-এর। আর এই প্রসঙ্গে এবার টুইট করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। তিনি লেখেন, “চন্দ্রযান ৩ ভারতের মহাকাশ যাত্রায় একটি নতুন অধ্যায় রচনা করেছে। এটি যত উচ্চতায় উঠবে ততই প্রতিটি ভারতীয়ের স্বপ্ন এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে বাড়িয়ে তুলবে। এই গুরুত্বপূর্ণ অর্জন আমাদের বিজ্ঞানীদের নিরলস নিষ্ঠার প্রমাণ। আমি তাদের চেতনা ও বুদ্ধিমত্তাকে অভিবাদন জানাই।"

চন্দ্রযান-৩ আগস্টের শেষের দিকে চাঁদে  অবতরণের চেষ্টা করবে। এ সময় মহাকাশযানটি প্রায় ৪৫ দিনে ৩ লাখ ৮৪ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দেবে। ইসরোর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উৎক্ষেপণের প্রায় ১৬ মিনিট পর রকেট থেকে সফলভাবে আলাদা হয়ে যায় যানটি। প্রপালশন মডিউলটি ল্যান্ডারের সাথে গতি অর্জনের পরে চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছানোর জন্য এক মাসেরও বেশি সময় ধরে যাত্রা করবে যতক্ষণ না এটি চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে ১০০ কিলোমিটার উপরে পৌঁছায়। ইসরোর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এখানে পৌঁছানোর পর ল্যান্ডার মডিউলটি চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে নরম অবতরণের জন্য অবতরণ শুরু করবে এবং ২৩ বা ২৪ আগস্ট এই মহড়া অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

 

ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে সফলভাবে চাঁদে দেশের তৃতীয় মিশন চন্দ্রযান-৩ (চন্দ্রযান-৩) উৎক্ষেপণ করেছে। এই মিশনের উদ্দেশ্য একটি রোভারের সাহায্যে চাঁদের চন্দ্র পৃষ্ঠ আবিষ্কার করা। একই সঙ্গে চন্দ্রযান-৩-এর কাছ থেকে ভারতের অনেক প্রত্যাশা রয়েছে। এই মিশন সফলভাবে সম্পন্ন হলে চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদে  অবতরণ করবে ভারত। শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে এই মিশন চালানো হয়েছিল।