ফের প্রশ্নের মুখে দেশের গণতন্ত্র - কেন্দ্রের 'ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন' বিল পাস হতেই বিরোধীদের মধ্যে জল্পনা তুঙ্গে

'এক জাতি, এক নির্বাচন' প্রস্তাব নিয়ে গরম আলোচনা চলছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী ও বিরোধী নেতাদের মধ্যে তীব্র বিতর্ক, রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী হবে?

author-image
Debapriya Sarkar
New Update
onoe

নিজস্ব সংবাদদাতা : কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে 'এক জাতি, এক নির্বাচন' প্রস্তাব অনুমোদন করার পর, বিরোধী নেতারা এর বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেছেন। বিরোধীরা বলছেন, এই প্রস্তাব দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ক্ষুণ্ণ করবে এবং ভুল অগ্রাধিকার নির্ধারণ করবে।

modii pokl1.jpg

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এক টুইট বার্তায় বলেন, "দেশের প্রয়োজন এক জাতি, এক শিক্ষা, এক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা। এক জাতি নয়, এক নির্বাচন। বিজেপির ভুল স্থানান্তরিত অগ্রাধিকার।" তিনি আরও বলেন, জনগণের মূল সমস্যাগুলি উপেক্ষা করা হচ্ছে। অন্যদিকে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিনও এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন। তিনি এক টুইটে বলেন, "'এক জাতি, এক নির্বাচন' প্রস্তাব আঞ্চলিক কণ্ঠস্বরকে মুছে ফেলবে, ফেডারেলিজমের অবক্ষয় ঘটাবে এবং শাসন ব্যবস্থাকে ব্যাহত করবে।" তিনি ভারতীয় গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্য জনগণকে একত্রিত হতে আহ্বান জানান।

Arvinda

আগস্টে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা 'ওয়ান নেশন, ওয়ান ইলেকশন' প্রস্তাব অনুমোদন করেছিল, যার প্রস্তাবনা ছিল একযোগে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের আয়োজন। এই প্রস্তাবের পেছনে ছিল প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি উচ্চ-পর্যায়ের প্যানেল, যা 21,000 জনের মতামত সংগ্রহ করে 81 শতাংশ সমর্থন পেয়েছিল।

এদিকে, প্রধানমন্ত্রী মোদী এই পদক্ষেপের প্রশংসা করে বলেন, এটি দেশের গণতন্ত্রকে আরও প্রাণবন্ত এবং অংশগ্রহণমূলক করবে। তবে, সংসদের চলমান শীতকালীন অধিবেশনের আগে বিলটি উভয় কক্ষে পাস হবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।

modi shah

এতদিন, 'এক জাতি, এক নির্বাচন' প্রস্তাবের পক্ষে আলোচনা চলছে, যেখানে শহুরে সংস্থা ও পঞ্চায়েত নির্বাচনসহ একযোগে নির্বাচন আয়োজনের সুপারিশ করা হয়েছে। এখন, সরকারের লক্ষ্য হল এই উদ্যোগে সর্বসম্মত সমর্থন গঠন করা।