টমেটোর পর এবার পেঁয়াজ! দাম কাঁদিয়ে ছাড়বে

এতদিন ছিল টমেটো। এবার জুড়ে বসতে চলেছে পেঁয়াজ। হ্যাঁ, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারে এবার আপনাকে কাঁদিয়ে ছাড়তে পারে পেঁয়াজের দাম। কত হতে পারে সেই দাম জানেন?

author-image
Anusmita Bhattacharya
আপডেট করা হয়েছে
New Update
e

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা: এবার টমেটোর মতো পরিণতি হতে পারে পেঁয়াজের। একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, চাহিদা ও জোগানের মধ্যে পার্থক্য থাকায় চলতি মাসের শেষের দিকে খুচরো বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেতে পারে আর সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। আগামী মাসে এক কিলোগ্রাম পেঁয়াজের দাম ৬০-৭০ টাকার স্তরে পৌঁছে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। তবে ২০২০ সালে পেঁয়াজের দাম যে ভয়াবহ স্তরে পৌঁছে যায়, এবার সেই সম্ভাবনা নেই বলে অনুমান।

রিপোর্টে বলা হয়েছে যে আপাতত জোগান এবং চাহিদার মধ্যে যে সামঞ্জস্য নেই, তা এই মাসের শেষে পেঁয়াজের দামে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে পারে। সেপ্টেম্বরের গোড়া থেকে খুচরো বাজারে পেঁয়াজের দাম বেশ বৃদ্ধি পেতে পারে। সেই ঝিমিয়ে থাকা মরশুমে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৬০-৭০ টাকার স্তরে পৌঁছে গেলেও সেটা অবাস্তব হবে না। কিন্তু চাহিদা ও জোগানের মধ্যে সেই ফারাক দেখা দিল কেন? রিপোর্ট অনুযায়ী, রবি মরশুমের পেঁয়াজ সাধারণত যতদিন ভালো থাকে, সেটার মেয়াদ এক থেকে দু'মাস কমে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। সেইসঙ্গে আতঙ্কে পড়ে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি ও মার্চে হুড়মুড়িয়ে পেঁয়াজ বিক্রি করে দেওয়ার ফলে নির্ধারিত সময়ের আগেই জোগান কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়ে গেছে একটা। পেঁয়াজের জোগানের ক্ষেত্রে সাধারণত সেপ্টেম্বরে যে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যায়, তা এবার চলতি মাসেই দেখা দিতে পারে। আর জোগান ও চাহিদার সেই সাপলুডোর খেলায় বেড়ে যেতে পারে পেঁয়াজের দাম। 

তবে এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কারণ দুর্গাপুজো ও উৎসবের মরশুমে পেঁয়াজের দাম কমবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, আগামী অক্টোবরের গোড়া থেকে বাজারে নতুন পেঁয়াজ চলে আসতে পারে। তার ফলে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু হবে। উৎসবের মরশুমে (অক্টোবর ও নভেম্বর) পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বেশি। এমনিতে চলতি বছর জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত পেঁয়াজের দাম কমে যাওয়ার ফলে আমজনতা কিছুটা মুক্তি পেয়েছিল মূল্যবৃদ্ধির হাত থেকে। কিন্তু তার জেরে খারিফ মরশুমের পেঁয়াজ চাষিদের মনে নেতিবাচক ভাবনাচিন্তা চলে এসেছিল। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, সেই বিষয়টি বিবেচনা করে অনুমান করা হচ্ছে যে চলতি বছর পেঁয়াজের উৎপাদনে ব্যবহৃত জমির পরিমাণ আট শতাংশ কমে যেতে পারে। গত বছরের তুলনায় খারিফ মরশুমে পেঁয়াজ উৎপাদন পাঁচ শতাংশ কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে গত পাঁচ বছরের গড়ের তুলনায় এবার সাত শতাংশ বেশি উৎপাদন করা হবে পেঁয়াজ।