নিজস্ব সংবাদদাতা: মোদি সরকার 'এক দেশ, এক নির্বাচন' অনুমোদন করেছে। বুধবার, মোদি মন্ত্রিসভা একযোগে দেশের সমস্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য গঠিত রামনাথ কোবিন্দ কমিটির রিপোর্ট পাস করেছে। এর পর দেশে 'এক দেশ, এক নির্বাচন'-এর পথ থেকে সাসপেন্স সরে গেছে। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে দেশের এই বৃহত্তম নির্বাচনী সংস্কার মোদি সরকারের আমলেই বাস্তবায়িত হবে। তার আগের মেয়াদে, মোদি সরকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সভাপতিত্বে 'ওয়ান নেশন, ওয়ান ইলেকশন' নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছিল। রামনাথ কোবিন্দ কমিটিকে দেশে একযোগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনা নিয়ে রিপোর্ট করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কমিটি এই বছরের মার্চে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে তাদের রিপোর্ট পেশ করেছিল। বুধবার মোদি মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রতিবেদনটি নিয়ে আলোচনা হয় এবং নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তথ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছেন যে কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে দেশের সমস্ত ফোরামে এটি নিয়ে আলোচনা করা হবে। এ নিয়ে যুব, ব্যবসায়ী, সাংবাদিকসহ সব সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
কমিটির সুপারিশ কী?
১. প্রথম দফায় লোকসভার পাশাপাশি সমস্ত রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন হতে হবে।
২. দ্বিতীয় দফায় লোকসভা ও বিধানসভার পাশাপাশি স্থানীয় সংস্থার নির্বাচন হতে হবে।
৩. সারা দেশে সব নির্বাচনের জন্য একক ভোটার তালিকা থাকতে হবে।
৪. ভোটার আইডি কার্ড সবার জন্য একই হতে হবে
এই সময়েও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ একটি বড় ঘোষণা করে বলেছিলেন যে এই মেয়াদে আমরা এক দেশ, এক নির্বাচন বাস্তবায়ন করব। আমরা আপনাকে বলি যে বিজেপি তাদের ইশতেহারেও এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সম্প্রতি, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী মোদিও তাঁর ভাষণে এক দেশ, এক নির্বাচনের কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সভাপতিত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল যা তাদের রিপোর্ট দিয়েছে। এই মেয়াদে এক দেশ এক নির্বাচন হবে।
একই সঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন করার কথা চলছে। তবে অনেক রাজনীতিবিদ এক দেশ, এক নির্বাচনের পক্ষে নন, তাই তারা এক দেশ, এক নির্বাচন চান না। এক দেশ, এক নির্বাচন বর্তমান সরকারের আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত এবং এ বিষয়টি মাথায় রেখে সরকার একটি কমিটি গঠন করেছে।কমিটির দেওয়া প্রতিবেদন মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে এটি বাস্তবায়নের জন্য একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া রয়েছে।