নিজস্ব সংবাদদাতা: ৪৬ বছর পর আজ ফের একবার জগন্নাথ মন্দিরের কোষাগার খুলতে চলেছে ওড়িশা সরকার। এই গুপ্তধন খোলার পর এতে উপস্থিত গহনা ও অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্রের তালিকা তৈরি করা হবে। আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন বলেছেন যে সারা বিশ্বে বসবাসরত ভগবান জগন্নাথের ভক্তরা দীর্ঘদিন ধরে এই মুহূর্তের অপেক্ষায় ছিলেন।
তিনি বলেছিলেন যে 'এখন আমরা কোষাগারে উপস্থিত গহনা এবং অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্রের তালিকা প্রস্তুত করতে 'রত্ন ভান্ডার' পুনরায় খুলতে যাচ্ছি। আমরা গহনার মান পরীক্ষা করব এবং মূল্যবান জিনিসের ওজন করব'। মন্দির পরিচালনা কমিটি এসওপিতে কিছু পরিবর্তনের সাথে অনুমোদনের জন্য ওড়িশা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি বিচারপতি বিশ্বনাথের নেতৃত্বে উচ্চ-স্তরের কমিটির কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখে এসওপি সরকারের অনুমোদন পেয়েছে। রাজ্য সরকার মন্দির পরিচালনা কমিটির সামনে এসওপি নিয়ে আলোচনা করেছে। এখন নির্দেশনার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। মন্দিরের কোষাগার খুলতে এবং তালিকার জন্য প্রতিটি কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য সমস্ত পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়েছে। দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসনের (এসজেটিএ) প্রধান প্রশাসককে। গুপ্তধনের গহনার ডিজিটাল ফটোগ্রাফি করা হবে।
মন্ত্রী বলেন যে গহনার তালিকার বিষয়ে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে আমরা আরবিআই-এর সাহায্য নিচ্ছি। তালিকা তৈরির সময় আরবিআই প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। এ জন্য ব্যবস্থাপনা কমিটির গঠিত টিম নিয়ে কাজ করব। প্রতিটি কাজের জন্য আলাদা দল রয়েছে। এসজেটিএ প্রধান প্রশাসকের নেতৃত্বে রত্না ভান্ডারের জন্য একটি বিশেষজ্ঞ দল গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সদস্য হিসেবে এএসআই, কর্মচারী, ব্যবস্থাপনা কমিটি ও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটির প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মন্দিরের কোষাগার আজ একটি শুভ সময়ে খোলা হবে।
প্রথমত, পুরী জেলা প্রশাসনের কাছে উপলব্ধ ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে কোষাগার খোলার চেষ্টা করা হবে। আইনমন্ত্রী বলেন, তা না হলে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তালা ভাঙা হবে। শেষবার প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করতে ৭০ দিনের বেশি সময় লেগেছিল। তিনি বলেন যে এবার প্রযুক্তির সহায়তায় কম সময়ে এ কাজ শেষ করার চেষ্টা করা হবে। 'এই কাজের দ্বারা আচার বা দর্শন কোনটাই প্রভাবিত হবে না। আগের বিজেডি সরকার ২৪ বছরের শাসনামলে রত্ন ভান্ডার খোলেনি। ক্ষমতায় আসার এক মাসের মধ্যে তা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি সরকার। প্রক্রিয়াটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য আমরা এটি ভগবান জগন্নাথের উপর ছেড়ে দিয়েছি', বলেন মন্ত্রী।