ভারতে ফের বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা: ২,৭৩১ নতুন কেস

ভারতের হায়দ্রাবাদে ডেঙ্গির নতুন কেস রেকর্ড করেছে ২,৭৩১, যা এলাকায় সর্বাধিক। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৯,২৫৪। মৌসুমি বর্ষণ ও জল জমে থাকার কারণে মশাবাহিত রোগের বৃদ্ধি ঘটছে।

author-image
Debapriya Sarkar
New Update
ass

নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশে ডেঙ্গির প্রকোপ ফের বাড়ছে, বিশেষ করে হায়দ্রাবাদে। এখানে নতুন করে ২,৭৩১টি ডেঙ্গি আক্রান্তের কেস রেকর্ড হয়েছে, যা এলাকায় সর্বাধিক। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে রাজ্যে মোট ৯,২৫৪ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। এই পরিস্থিতি উদ্বেগজনক, কারণ ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার মতো রোগের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে।

dengue bihar.jpg

মৌলানা আজাদ ন্যাশনাল উর্দু ইউনিভার্সিটির হেলথ সেন্টারের ডাঃ আনসারি জানিয়েছেন, ভারী বর্ষণ, জল জমে থাকা এবং পরবর্তী তাপমাত্রা বৃদ্ধি ভেক্টর-বাহিত রোগের বৃদ্ধির প্রধান কারণ। এসব কারণে মশার জন্য আদর্শ প্রজননস্থল সৃষ্টি হচ্ছে, যার ফলে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডেঙ্গির লক্ষণ মাঝে মাঝে প্রকাশিত হয় এবং কখনও আবার থাকে না। সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে ঠান্ডা লাগার সঙ্গে জ্বর, পেশী, হাড় ও জয়েন্টে ব্যথা, চোখে ব্যথা ও জ্বালাপোড়া এবং চরম ক্লান্তি অন্তর্ভুক্ত।

dengue 2.jpg

ডেঙ্গির চিকিৎসার প্রক্রিয়া শুরু হয় রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে। ডেঙ্গিতে প্লেটলেটের সংখ্যা কমে যাওয়া স্বাভাবিক, তাই চিকিৎসকেরা রোগীদের প্লেটলেট বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। পেঁপের রস, নারকেল জল এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান করা উচিত। কিউই ও ড্রাগন ফলের মতো ফল খাওয়াও প্লেটলেট বাড়াতে সহায়ক। স্বাস্থ্য আধিকারিকদের মতে, হায়দরাবাদে অক্টোবরের শুরুতে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কমেছে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ৫৫৪টি ডেঙ্গির ঘটনা রিপোর্ট করা হলেও, এই বছরের অক্টোবরে এখনও পর্যন্ত ৩৯৮টি কেস রিপোর্ট হয়েছে।

incidents2019-dengue-mehedi-hasan-1577642683247.jpeg

দিল্লিতেও বর্ষার পর মশাবাহিত রোগের তীব্রতা বেড়ে গেছে। এ বছর ২,১১৫ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। গত ৪ সেপ্টেম্বর ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে ৫৪ বছর বয়সি এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। সফদরজং হাসপাতাল এবং মহারাজা অগ্রসেন হাসপাতাল থেকে আরও দু'জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গত বছরের তুলনায় কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৮৩ শতাংশ কমেছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কলকাতা পুর-এলাকায় ১,৯৩৬ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন, তবে এ বছর সেই সংখ্যা মাত্র ৩৩১। জেলাতেও আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে, যা সামগ্রিকভাবে আশাব্যঞ্জক।