নিজস্ব সংবাদদাতা: ভারত জুড়ে, বেশ কয়েকজন নারী কর্মী লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অগ্রগতি করছেন। এই ব্যক্তিরা পরিবর্তন আনতে এবং ভুক্তভোগীদের সমর্থন করার জন্য নিরন্তর কাজ করছেন। তাদের প্রচেষ্টা একটি দেশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যেখানে লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হিসাবে বিদ্যমান রয়েছে।
এই ব্যক্তিদের মধ্যে একজন হলেন কবিতা কৃষ্ণন, একজন কর্মী যিনি সর্ব ভারত প্রগতিশীল মহিলা সংঘের সাথে কাজের জন্য পরিচিত। তিনি নারীদের অধিকার সম্পর্কে সোচ্চার এবং নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা সমাধানের জন্য অসংখ্য প্রচারণা পরিচালনা করেছেন। তার আইনজীবী অনেক মামলায় মনোযোগ আকর্ষণ করেছে যা অন্যথায় অনুদৃষ্ট হতে পারত।
অন্য একজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মী, অ্যানি রাজা, ভারতীয় নারীদের জাতীয় ফেডারেশনের সাথে যুক্ত। তিনি নীতি পরিবর্তনের জন্য এবং পারিবারিক সহিংসতার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এই কার্যের জন্য তার উৎসর্গ অনেককেই এই আন্দোলনে যোগদানের জন্য অনুপ্রাণিত করেছে।
গ্রামীণ এলাকায়, সুনীতা কৃষ্ণন এই ধরণের কর্মীদের মধ্যে একজন যিনি মানব পাচার এবং যৌন শোষণের উপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করে পার্থক্য তৈরি করছেন। প্রজ্ঞালের সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে, তিনি বেঁচে থাকা ভুক্তভোগীদের উদ্ধার এবং পুনর্বাসনের জন্য কাজ করেন। তার সংস্থা ভুক্তভোগীদের জীবন পুনর্গঠনে সাহায্য করার জন্য আশ্রয়, শিক্ষা এবং পেশাগত প্রশিক্ষণ প্রদান করে।
একইভাবে, বিনালাক্ষ্মী নেপরাম উত্তর-পূর্ব ভারতে তার সংস্থা, মণিপুরি নারী বন্দুক বেঁচে থাকা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সহিংসতার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। তিনি সশস্ত্র সংঘর্ষের ফলে প্রভাবিত নারীদের সমর্থন করেন এবং অস্ত্র ত্যাগের জন্য এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার কর্মসূচির জন্য প্রচারণা চালায়।
এই কর্মীরা সামাজিক প্রতিরোধ এবং নিরাপত্তা হুমকির মতো অসংখ্য চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন। এই বাধা সত্ত্বেও, তারা তাদের কাজ থেকে বিরত থাকেন না। তাদের সাহস লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা সমাধানে প্রণালীগত পরিবর্তনের জরুরি প্রয়োজনকে উজ্জ্বল করে তোলে।
এই নারীদের প্রচেষ্টা ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ। সচেতনতা বৃদ্ধি এবং নীতি পরিবর্তনের জন্য প্রচারণা চালিয়ে, তারা ভারত জুড়ে নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনা কমাতে চান। তাদের কাজ সামাজিক পরিবর্তন আনতে সংঘবদ্ধ ক্রিয়ার শক্তির একটি স্মরণকর হিসেবে কাজ করে।