নিজস্ব প্রতিনিধি, বালেশ্বর : শয়ে শয়ে সাজানো রয়েছে লাশ! সাদা কাপড়ে ঢাকা একের পর এক নিথর দেহ। ওড়িশার বাহানগা, আজ যেন এক মৃত্যুপুরী! নিহতের সংখ্যা ৩০০ ছুঁই ছুঁই ইতিমধ্যেই। তবে শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে থামবে মৃত ও আহতের সংখ্যা তা কেউ জানে না। মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যেই দুটি ট্রেনের বেশ কয়েকটি কামড়া লন্ডভন্ড হয়ে যায়। তারপর শুধু কান্নার হাহাকার শুনতে পাওয়া যায়। ১০ থেকে ১৫ মিনিট পরেই নিস্তব্ধ হয়ে যায় গোটা এলাকা। ছুটে আসেন স্থানীয় মানুষজন, তারপরে কিছুক্ষণ পর দেখা যায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে নিথর দেহ গুলো।
কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছান উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক ও রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। পৌঁছায় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের বাহিনী, সেনা বাহিনী সহ প্রশাসন এবং মেডিকেল টিম। পরের দিন ঘটনাস্থলে পৌঁছান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই দুর্ঘটনায় তিনি কার্যত রেল মন্ত্রককেই কাঠগড়ায় তোলেন। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। দুর্ঘটনা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন সেনাবাহিনীর সঙ্গে। তারপর সেখান থেকেই হসপিটালে গিয়ে দুর্ঘটনায় আহতদের সাথে দেখা করে কথা বলেন। দুর্ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। হঠাৎই কয়েক মিনিটের মধ্যে বেঘোরে কয়েকশ মানুষের প্রাণ এইভাবে চলে যাবে কেউ কি ভেবেছিল?