নিজস্ব সংবাদদাতা: আজ থেকে অর্থাৎ ১ জুলাই থেকে বিচারের এক নতুন অধ্যায় শুরু হচ্ছে। রবিবার রাত ১২টা থেকে ভারতে নতুন ফৌজদারি বিচার কার্যকর হয়েছে। আইপিসি, সিআরপিসি সহ, ১৯৭২ সালের ভারতীয় সাক্ষ্য আইন তিনটি নতুন আইন দ্বারা প্রতিস্থাপিত হচ্ছে - ভারতীয় বিচার কোড, ভারতীয় সিভিল ডিফেন্স কোড এবং ভারতীয় সাক্ষ্য আইন। দেশে নতুন তিনটি ফৌজদারি আইন কার্যকর হওয়ার পর ফৌজদারি মামলার বিচার শেষ হওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে রায় দিতে হবে। এই নতুন আইনে ৬০ দিনের মধ্যে চার্জ গঠনের বিধান রয়েছে।
/anm-bengali/media/media_files/4rlENn9Ag9iaJ8G7RDKI.webp)
কোনো ব্যক্তি কোনো নারীকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে, আর্থিক প্রলোভন দেখিয়ে বা ক্ষমতার অপব্যবহার করে বা বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সঙ্গে সহবাস করলে তার শাস্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিয়ের মিথ্যা অজুহাতে ১৮ বছরের বেশি বয়সী নারীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক আর ধর্ষণের অন্তর্গত হবে না। এর জন্য নতুন আইনে বিএনএসের ৬৯ ধারায় পৃথক অপরাধের সৃষ্টি করা হয়েছে। সহজ ভাষায় বললে, কোনো ব্যক্তি যদি বিয়ের অজুহাতে কোনো নারীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করে তাহলে তা ধর্ষণ নয়। ৬৩, ৬৪ এবং ৭০ নম্বর ধারায় গণধর্ষণ ও ধর্ষণের বিধান দেওয়া হয়েছে। নতুন আইনে ধর্ষণের জন্য ৬৩ নম্বর ধারা, ধর্ষণের জন্য ৬৪ নম্বর ধারা এবং গণধর্ষণের জন্য ৭০ নম্বর ধারা লাগু হবে। এমতাবস্থায় দোষী প্রমাণিত হওয়া অপরাধীর জন্য ১০ বছর পর্যন্ত শাস্তির বিধান রয়েছে। এখন থেকে পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের উপস্থিতিতে ধর্ষিতাদের জবানবন্দি নেবেন পুলিশ কর্মকর্তারা। এছাড়া ৭ দিনের মধ্যে নিপীড়িতার মেডিকেল রিপোর্ট শেষ করতে হবে।
/anm-bengali/media/post_attachments/c302adf6fdd9963ea868302e9e1aefa4a7ce5c6b13853b7139b2cddebd9a7f03.webp)