নিজস্ব সংবাদদাতা: দিল্লিতে নির্মাণ কাজ দূষণের একটি প্রধান উৎস। সড়ক এবং ভবনসহ নির্মাণ স্থান থেকে উড়ে আসা ধুলো বায়ু দূষণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। এই ধুলোতে ক্ষতিকারক কণা থাকে যা শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে। শহরের দ্রুত নগরায়ন এই ধরণের কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা দূষণ সমস্যাকে আরও জটিল করে তুলেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নির্মাণ ধুলো বায়ুতে থাকা ক্ষুদ্র কণার একটি বড় অংশের জন্য দায়ী। এই কণা এত ছোট যে এটি ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করতে পারে এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে। সরকার ধুলো নির্গমন কমাতে নির্মাণ স্থান ঢেকে রাখা এবং জল ছিটিয়ে দেওয়ার মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
এই প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, প্রয়োগ এখনও একটি চ্যালেঞ্জ। অনেক স্থান নিয়মকানুন মেনে চলে না, যার ফলে নিয়ন্ত্রণহীন দূষণ হয়। কর্তৃপক্ষ নিয়ম মেনে চলার জন্য আরও কঠোর তদারকি এবং উল্লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগের ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছে যাতে বায়ুর মান উন্নত হয়।
দিল্লিতে দূষণের একমাত্র উৎস নির্মাণ নয়। যানবাহনের নির্গমন, শিল্প কার্যকলাপ এবং ফসল জ্বালানোও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। তবে, নগর এলাকায় যেখানে মানুষ বাস করে এবং কাজ করে সেখানে এর সরাসরি প্রভাবের কারণে নির্মাণ সম্পর্কিত দূষণ সমাধান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সরকার পরিবেশগত প্রভাব কমাতে টেকসই ভবন নির্মাণ পদ্ধতি অনুসন্ধান করছে। এতে পরিবেশবান্ধব উপকরণ ব্যবহার এবং সবুজ নির্মাণ কৌশল গ্রহণ অন্তর্ভুক্ত। এই ধরণের উদ্যোগ উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা এবং পরিবেশ সুরক্ষার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার লক্ষ্যে কাজ করে।
জনসাধারণকে নির্মাণ কার্যকলাপ থেকে দূষণ কমাতে গুরুত্বের বিষয়ে শিক্ষিত করার জন্য জনসচেতনতার প্রচারণা পরিচালিত হচ্ছে। সম্প্রদায়কে যোগদান করিয়ে, কর্তৃপক্ষ দিল্লিতে পরিষ্কার বায়ুর জন্য একটি যৌথ প্রচেষ্টা তৈরি করার আশা করে।