নিজস্ব সংবাদদাতাঃ দেশে ক্রমশ কমছে হিন্দু জনসংখ্যা। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা। ভোটের মধ্যেই জানা গিয়েছে, দেশে হিন্দুদের জনসংখ্যা ৮ শতাংশ কমে গেছে। নির্বাচনের সময় এমন রিপোর্টই জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদ।
প্রসঙ্গত, মুসলিম জনসংখ্যা নিয়ে দেশের রাজনৈতিক মহলে জল্পনা চলছে। এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদ মুসলিম জনসংখ্যা নিয়ে বড় তথ্য জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের সমীক্ষা অনুযায়ী জানা গেছে যে, ১৯৫০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে দেশে মুসলিম জনসংখ্যা ৪৩.১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
১৯৫০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত দেশের জনসংখ্যার ভিত্তিতেই প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। ১৯৫০ সালে মুসলিম জনসংখ্যার অংশ ছিল ৯.৮৪ শতাংশ, যা ২০১৫ সালে ১৪.০৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
শুধুমাত্র ভারত নয়, সারা বিশ্বের জনসংখ্যার তথ্য নিয়েই রিপোর্ট দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদ। দেখা যাচ্ছে, দেশে হিন্দু জনসংখ্যা অনেকটাই কমেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, হিন্দুদের ভাগ কমেছে ৭.৮১ শতাংশ। অর্থাৎ, হিন্দুদের জনসংখ্যা ৮৪.৬৮ শতাংশ থেকে কমে ৭৮.০৬ শতাংশ হয়েছে। এছাড়াও, মায়ানমারে হিন্দুদের জনসংখ্যা ১০ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে, মায়ানমারে থেরাভেডা বুদ্ধিস্টদের সংখ্যা ১০ শতাংশ কমেছে।
১৯৫০ থেকে ২০১৫, এই ৬৫ বছরে দেশে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিসংখ্যাটি দক্ষিণ এশিয়ার দেশ গুলিতে এই সংখ্যাটি বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে ভারতে সংখ্যালঘুরা শুধু সুরক্ষিতই নয়, উন্নতিও করছে। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ভুটান এবং আফগানিস্তানে সংখ্যালঘু অর্থাৎ হিন্দু জনসংখ্যা হ্রাস পেয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে মুসলিম, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ এবং শিখ জনসংখ্যার অংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু অন্যদিকে, জৈন এবং পার্সি জনসংখ্যার অংশ হ্রাস পেয়েছে। দেশে বিভিন্ন ভাবে উন্নতি করেছে তারা। ভারতে খ্রিস্টানদের সংখ্যার হার ২.২৪ থেকে ২.৩৬ শতাংশ হয়েছে। এছাড়াও, ভারতে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও বিশ্বের নানা প্রান্তে সংখ্যা লঘুদের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে।
প্রসঙ্গত এই রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশে মুসলমান বেড়েছে ১৮ শতাংশ। জানা গিয়েছে, ভারতের পার্শ্ববর্তী দেশ বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি মুসলমান বৃদ্ধি পেয়েছে। যেই সংখ্যাটি হল ১৮ শতাংশ। শ্রীলঙ্কা ও ভুটানেও সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ভাগ বেড়েছে। ভুটান এবং শ্রীলঙ্কায় বুদ্ধিস্টদের সংখ্যা বেড়েছে।