নিজস্ব সংবাদদাতা: বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খানের ওপর হামলার ঘটনায় মুম্বই পুলিশ একজন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে তাদের কাছে পর্যাপ্ত শারীরিক, প্রযুক্তিগত এবং মৌখিক প্রমাণ রয়েছে। মঙ্গলবার এক প্রেস কনফারেন্সে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম অঞ্চল) পরমজিৎ দাহিয়া এই তথ্য জানিয়েছেন।
১৬ জানুয়ারি ভোরে মুম্বইয়ের বান্দ্রায় নিজের বাড়িতে হামলার শিকার হন সাইফ আলি খান। অভিযুক্ত ব্যক্তি সাইফের বাড়িতে অনুপ্রবেশ করে ডাকাতির উদ্দেশ্যে জেহ আলি খানের ঘরে ঢুকে তার আয়ার ওপর হামলা চালায়। অভিযোগ, অভিযুক্ত ১ কোটি টাকা দাবি করে এবং সাইফ বাধা দিতে গেলে তাঁকে ছয়টি ছুরিকাঘাত করা হয়।
১৯ জানুয়ারি মুম্বই পুলিশ বাংলাদেশের নাগরিক শরিফুল ইসলাম ওরফে বিজয় দাসকে থানের কাছ থেকে গ্রেফতার করে। তদন্তে উঠে এসেছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তি বাংলাদেশ থেকে প্রবেশের পরে কিছুদিন কলকাতায় অবস্থান করেছিল। পুলিশের একটি দল পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে সেখানে প্রয়োজনীয় তদন্ত চালিয়েছে। জানা গেছে, অভিযুক্ত অন্যের আধার কার্ড ব্যবহার করে সিম কার্ড কিনেছিল। এ বিষয়ে জড়িত এক মহিলার বিবৃতিও রেকর্ড করা হয়েছে।
অপরাধস্থল থেকে আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মুম্বই পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার দাহিয়া বলেন, ‘‘আমাদের কাছে শারীরিক, প্রযুক্তিগত এবং মৌখিক প্রমাণ রয়েছে, যা অভিযুক্তের অপরাধ প্রমাণে যথেষ্ট।’’ পুলিশ আরও জানিয়েছে যে, সাইফ আলি খানের পক্ষ থেকে তারা সরাসরি কোনো কল পায়নি। এই ঘটনার খবর হাসপাতাল থেকে পাওয়া যায়।
হামলার পর সাইফকে মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়। ডাক্তারদের মতে, মেরুদণ্ডের পাশে আঘাতের কারণে তরল লিক হওয়া শুরু করেছিল, যা তাৎক্ষণিক চিকিৎসা না পেলে বড় বিপদ ডেকে আনতে পারত। তবে বর্তমানে অভিনেতা সম্পূর্ণ সুস্থ। হাসপাতাল থেকে ছুটি নিয়ে পায়ে হেঁটেই নিজের ফ্ল্যাটে ফিরে যান তিনি।
সাইফ আলি খানের ওপর এই হামলা এবং তার পেছনে থাকা অপরাধমূলক পরিকল্পনা নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে। মুম্বই পুলিশ অপরাধের সঙ্গে জড়িত সমস্ত নেটওয়ার্ক ভাঙতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। পশ্চিমবঙ্গ ও মুম্বই উভয় জায়গাতেই তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।