নিজস্ব সংবাদদাতা: গত বছর ধরে মহারাষ্ট্রের বায়ু দূষণ একটি বর্ধমান উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠেছে। রাজ্যটিতে দূষণের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা লক্ষ লক্ষ মানুষকে প্রভাবিত করেছে। মুম্বাই এবং পুনের মতো বড় শহরগুলিতে বায়ু মান সূচক (AQI) স্তরের চরম উদ্বেগজনক রিপোর্ট করা হয়েছে, যা প্রায়শই নিরাপদ সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
মহারাষ্ট্রের শহুরে এলাকায় AQI প্রায়শই ২০০ ছাড়িয়ে যায়, যা দূষিত বায়ুর মান নির্দেশ করে। এটি বিশেষ করে শিশু এবং বৃদ্ধদের জন্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে। এই দূষণের কারণ হল যানবাহন নির্গমন, শিল্প কার্যকলাপ এবং নির্মাণ ধুলো।
দূষিত বায়ু শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যা এবং হৃদরোগের কারণ হতে পারে। হাসপাতালগুলি অ্যাজমা এবং অন্যান্য ফুসফুস-সম্পর্কিত অবস্থার রোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধির কথা জানিয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ বাসিন্দাদের সাবধানতা অবলম্বন করার আহ্বান জানাচ্ছে।
মহারাষ্ট্র সরকার দূষণ মোকাবেলায় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এগুলির মধ্যে রয়েছে ইলেকট্রিক যানবাহন প্রচার, জনসাধারণের পরিবহন ব্যবস্থা উন্নতকরণ এবং শিল্পের জন্য কঠোর নির্গমন মান বাস্তবায়ন। তবে, প্রয়োগ করা এখনও একটি চ্যালেঞ্জ।
দূষণের বিপদ সম্পর্কে নাগরিকদের শিক্ষিত করার জন্য সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। স্কুলগুলি পরিবেশগত শিক্ষা তাদের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করছে যাতে ছোটবেলা থেকেই পরিবেশবান্ধব অভ্যাস গড়ে তোলা যায়।
বায়ুমান উন্নত করার জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলেও চ্যালেঞ্জ অব্যাহত রয়েছে। সরকারী সংস্থা, শিল্প এবং নাগরিকদের মধ্যে সহযোগিতা টেকসই সমাধানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই জরুরি বিষয়টি মোকাবেলায় পর্যবেক্ষণ এবং কৌশল সমন্বয় করার জন্য মূল।