নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মুম্বইয়ের থানের মীরা রোডে একত্রবাস সঙ্গীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় মনোজ সাহানি নামে এক ব্যক্তিকে। মনোজ ৩ বছরের লিভ-ইন-পার্টনার সরস্বতী বিদ্যাকে খুন করে তাঁর দেহাংশ টুকরো করে ঘরের বিভিন্ন বাসনপত্রে ভরে রাখে। দেহাংশের কিছু অংশ প্লাস্টিকেও ভরে রাখে মনোজ। পুলিশ মনোজের ফ্ল্যাটে হাজির হলে, সেখানে সরস্বতীর দেহাংশের সব টুকরো মেলেনি। পুলিশের অনুমান, খুনের পর সরস্বতীর দেহাংশের বেশ কিছু অংশ নর্দমায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। এমনকী, সরস্বতীর দেহের বেশ কিছু অংশ মনোজ রাস্তার কুকুরকেও খাইয়ে দেয় বলে প্রাথমিক তদন্তের পর মনে করছে পুলিশ। প্রেমিকাকে খুনের পর গ্রেফতারি এড়াতেই মনোজ সরস্বতীর দেহের একাধিক টুকরো কুকুরকে খাইয়ে দেয় বলে পুলিশ মনে করছে।
জানা গিয়েছে, সরস্বতীকে নিয়ে মনোজ প্রায় হাঁটতে বের হত। কিন্তু গত রবিবার থেকে সরস্বতী বিদ্যাকে মীরা রোডের সোসাইটির লোকজন দেখতে পাননি। তখন থেকেই সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করে। প্রসঙ্গত মীরা রোডের ওই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর পুলিশ মনোজ সাহানির ঘর থেকে সরস্বতী বিদ্যার দেহের ২০ টি টুকরো উদ্ধার করে।
পুলিশের কথায়, সরস্বতীর বেশ কিছু দেহাংশ মনোজ প্রেসার কুকারে সেদ্ধ করে। তারপর প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে তা বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেয়।
সূত্রে খবর, মীরা রোডে ২ কামরার ফ্ল্যাটে থাকত মনোজ সাহানি এবং সরস্বতী বিদ্যা। খুনের পর যাতে গন্ধ না বের হয়, তার জন্য একাধিক সুগন্ধী ব্যবহার করে মনোজ। ঘরের বিভিন্ন জায়গায় চুলের কাটা অংশ, রক্ত, কাঠ কাটার যন্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রসঙ্গত মনোজ সাহানিকে গ্রেফতারির পর আজ আদালতে তোলা হয়। আগামী ১৬ জুন পর্যন্ত মনোজ সাহানিকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হবে বলে জানানো হয় আদালতের তরফে।