নিজস্ব সংবাদদাতা: মহারাষ্ট্রের দুর্বল গোষ্ঠীর জন্য দূষণ একটি উল্লেখযোগ্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি। রাজ্যের শহুরে এলাকা, বিশেষ করে মুম্বাই এবং পুনে, উচ্চ দূষণের মুখোমুখি। এটি শিশুদের, বৃদ্ধদের এবং পূর্ববর্তী অবস্থার ভুক্তভোগীদের প্রভাবিত করে। বায়ু মান ক্ষতিকারক স্তরে কণা পদার্থ (PM2.5) দেখায় যা শ্বসনতন্ত্র এবং হৃদরোগের কারণ হতে পারে।
শিশুরা তাদের বিকাশমান ফুসফুসের কারণে বিশেষভাবে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। দূষিত বাতাসে এক্সপোজার অ্যাজমা এবং অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের রোগের দিকে পরিচালিত করতে পারে। বৃদ্ধরা, যাদের প্রায়ই দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকে, হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকিতে বেড়ে যায়। দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতার ভুক্তভোগীরা খারাপ লক্ষণগুলি অনুভব করতে পারে।
মহারাষ্ট্রে বায়ু দূষণের একটি প্রধান কারণ হল যানবাহনের নির্গমন। শিল্প কার্যকলাপগুলিও বায়ুমণ্ডলে ক্ষতিকারক দূষণকারী পদার্থ ছাড়ছে। নির্মাণ ধুলো সমস্যা আরও তীব্র করে তোলে, শহুরে অঞ্চলে বায়ুমান আরও খারাপ করে।
মহারাষ্ট্র সরকার দূষণের মোকাবেলা করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে যানবাহন এবং শিল্পের জন্য কঠোর নির্গমন নিয়ম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। জনগণের পরিবহন প্রচার করার এবং ট্র্যাফিক জট কমাতে প্রচেষ্টা চলছে। সচেতনতামূলক প্রচারণা দূষণের স্বাস্থ্যগত প্রভাব সম্পর্কে নাগরিকদের শিক্ষিত করার লক্ষ্যে চালু করা হয়েছে।
স্থানীয় সম্প্রদায় দূষণ সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাসিন্দাদের গাছ লাগানোর অভিযান এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উদ্যোগে অংশগ্রহণ করার জন্য উৎসাহিত করা হয়। স্কুল পরিবেশ সংরক্ষণ সম্পর্কে শিশুদের শেখানোর জন্য কর্মসূচী পরিচালনা করে।
মহারাষ্ট্রে বায়ুমান উন্নত করার জন্য অব্যাহত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। সরকারি সংস্থা, শিল্প এবং নাগরিকদের মধ্যে সহযোগিতা অপরিহার্য। একসাথে কাজ করে রাজ্য দূষণের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে তার দুর্বল জনগোষ্ঠীকে রক্ষা করতে পারে।