নিজস্ব সংবাদদাতা: উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম ভারতে বসবাসকারী ৬০ কোটিরও বেশি মানুষ এই বছর প্রচণ্ড গরমের সম্মুখীন হচ্ছেন। কোথাও কোথাও তাপমাত্রার পারদ ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, পাঞ্জাব ও হরিয়ানা কয়েকদিন ধরে তীব্র তাপপ্রবাহের কবলে রয়েছে। বুধবার রাতে দিল্লি-এনসিআরের আবহাওয়ায় সামান্য পরিবর্তন হয়েছে। তাপমাত্রা কমেছে এবং রাতে প্রবল বাতাস বইতে শুরু করেছে। কিছু জায়গায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিরও খবর পাওয়া গেছে তবে ব্যাপক বৃষ্টির অপেক্ষায় রয়েছে মানুষ।
আবহাওয়া দফতরের মতে, ১৯ মে আন্দামান সাগর ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বর্ষা আঘাত হানে। ৩০ মে কেরলে বর্ষা পৌঁছেছিল স্বাভাবিকের চেয়ে ২ দিন আগে। নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম এবং অরুণাচল প্রদেশের কিছু অংশে বর্ষা পৌঁছেছে ৬ দিন আগে। এটি খুব কমই ঘটে যে বর্ষা একই সাথে কেরালা এবং পূর্ব ভারতে প্রবেশ করে। ৩০ মে- এর পরে, বর্ষা প্রতিদিন অগ্রসর হচ্ছে এবং ১০ জুনের মধ্যে এটি আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, কেরালা, লক্ষদ্বীপ, মাহে, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা এবং অন্ধ্র প্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের বড় অংশে পৌঁছে গেছে। এই সব রাজ্যে সময়ের চেয়ে ৩ থেকে ৫ দিন আগেই পৌঁছে গিয়েছিল বর্ষা।
১১ জুন থেকে বর্ষার গতি কমতে শুরু করে। দক্ষিণ উপদ্বীপে খরা ও তাপের্ পরিস্থিতি ফিরে এসেছে। গত ১ সপ্তাহে সারা ভারতে বৃষ্টিপাতের পরিসংখ্যান গড়ের চেয়ে কম ছিল। আর্থ সায়েন্স মন্ত্রকের প্রাক্তন সচিব এম রাজীবন বলেছেন যে প্রথম দিকে বর্ষা বেশ গতিতে এসেছিল। তবে খুব বেশি বৃষ্টি হয়নি। এটি বর্ষার স্বাভাবিক প্রবাহ নয়, যা প্রত্যাশিত ছিল। মঙ্গলবার, বর্ষার উত্তর সীমা - বর্ষার অগ্রগতির নির্দেশক কাল্পনিক রেখা - নবসারি, জলগাঁও, অমরাবতী, চন্দ্রপুর, বিজাপুর, সুকমা, মালকানগিরি, ভিজিয়ানগরম এবং ইসলামপুরের মধ্য দিয়ে গেছে। বর্ষার দ্বিতীয় শাখা - বঙ্গোপসাগরের স্রোত -ও পূর্বদিকের বাতাসের অভাবে আটকে আছে।
আইএমডির সিনিয়র আবহাওয়াবিদ ডি শিবানন্দ পাই বলেছেন যে প্রবল পূর্বদিকের বাতাসের অভাবে মৌসুমি বায়ুর বঙ্গোপসাগর শাখাও অগ্রসর হতে পারেনি। ফলে অপেক্ষা করতে হবে নতুন তরঙ্গ এবং মৌসুমী নিম্নচাপ রেখা স্থাপনের জন্য যাতে মৌসুমী ব্যবস্থা আবার শক্তিশালী হতে পারে।