Flood: চারিদিকে শুধু জলই জল, ক্ষতিগ্রস্ত ৯৮,৮০০ মানুষ

আসামে বন্যায় হাজার হাজার মানুষ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রাজ্যের অনেক প্রধান নদী এখনও বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রাজ্যজুড়ে ৩৭১টি গ্রাম জলমগ্ন।

author-image
SWETA MITRA
New Update
assam floodd.jpg

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলির পাশাপাশি এবার ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে আসাম (Assam Flood) রাজ্য। জানা গিয়েছে, যত সময় এগোচ্ছে অসমে বন্যার পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর হয়ে উঠেছে। এদিকে বন্যার কবলে পড়ে হাজার হাজার মানুষ চরম সমস্যার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। আসাম রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এএসডিএমএ) তরফে জারি করা এক তথ্য অনুসারে, শোণিতপুর, চিরাং, দারাং, ধেমাজি, ডিব্রুগড়, গোলাঘাট, লখিমপুর, মাজুলি, শিবসাগর এবং উদালগুড়ি জেলায় বন্যায় ৯৮,৮০০ জনেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

 

দৈনিক বন্যার রিপোর্টে বলা হয়েছে, গোলাঘাট অঞ্চল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, প্রায় ২৯,০০০ মানুষ সমস্যায় পড়েছে। এর পরেই রয়েছেন ধেমাজি (২৮,০০০) এবং শিবসাগর (১৩,৫০০)। শনিবার রাজ্যের ১২ টি জেলায় প্রায় ১.০৮ লক্ষ মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। কর্তৃপক্ষ দুটি জেলায় ১৭ টি ত্রাণ শিবির পরিচালনা করছে যেখানে ২,৯৪১ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছে এবং ছয়টি জেলায় ৪৯ টি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র চালু রয়েছে।

এএসডিএমএ আরও জানিয়েছে, বর্তমানে রাজ্যজুড়ে ৩৭১টি গ্রাম জলমগ্ন এবং ৩,৬১৮.৩৫ হেক্টর ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বকসা, বনগাইগাঁও, চিরাং, কোকরাঝাড়, লখিমপুর, নলবাড়ি, উদালগুড়ি ও তিনসুকিয়ায় ব্যাপক বন্যার কারণে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

 

এদিকে শোণিতপুর, ধেমাজি, ধুবড়ি, কোকরাঝাড়, মরিগাঁও, বনগাইগাঁও, চিরাং, গোলাঘাট, লখিমপুর ও মাজুলি জেলায় বন্যার জলে বাঁধ, রাস্তা, সেতু এবং অন্যান্য অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের জল ধুবড়ি, তেজপুর ও নেমাতিঘাটে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং এর উপনদী ডিকাও শিবসাগরে প্লাবিত হচ্ছে।

 

উল্লেখ্য, গত জুন মাসেও ভয়াবহ বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যে। গত জুন মাসে আসামের বাজালি, বাকসা, বারপেটা, বিশ্বনাথ, চিরাং, দারাং, ধেমাজি, ধুবড়ি, ডিব্রুগড়, গোলাঘাট, হোজাই, কামরূপ, কোকরাঝাড়, লখিমপুর, নগাঁও, নলবাড়ি, শোণিতপুর, তামুলপুর, উদালগুড়ি জেলার ৪৫টি রাজস্ব গ্রামের ৭৮০টি গ্রাম বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

 

সেইসময়ে এএসডিএমএ'র এক রিপোর্টে দাবি করা হয়, শুধু নলবাড়ী জেলায় ৪৪ হাজার ৭০৭ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এর পর বাকসায় ২৬ হাজার ৫৭১ জন, লখিমপুরে ২৫ হাজার ৯৬ জন, তামুলপুরে ১৫ হাজার ৬১০ জন, বারপেটা জেলায় ৩ হাজার ৮৪০ জন বন্যার জেরে চরম সমস্যার সম্মুখীন হন।

 

জেলা প্রশাসন ১৪টি ত্রাণ শিবির এবং ১৭টি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র স্থাপন করে এবং বাকসা, ধুবড়ি, কোকরাঝাড়, নলবাড়ি এবং তামুলপুর জেলায় মোট ২,০৯১ জন মানুষ ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছিল।