নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ২০২৩ সালের মে মাস থেকে হিংসাত্মক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মণিপুরে। কুকি ও মেইতেই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও জ্বলছে মণিপুর। বহু চেষ্টা করেও সেখানকার পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। কিন্তু এর মধ্যেই বড় সিদ্ধান্ত নিল মণিপুর সরকার। মায়ানমার থেকে যে সমস্ত অবৈধ অনুপ্রবেশকারী মণিপুরে থাকছে, তাদের বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিল এন বীরেন সিংয়ের সরকার। শনিবার এক বিবৃতি দিয়ে এই কথা ঘোষণা করেছে মণিপুরের স্বরাষ্ট্র দফতর।
মায়ানমারের সঙ্গে দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে মণিপুরের। মণিপুরে মায়ানমার থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি এই সীমান্ত ব্যবহার করে মণিপুরবাসীদের একাংশের বিরুদ্ধে মাদক কারবারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে। এমনকি এই হিংসার জন্য এই অবৈধ অনুপ্রবেশকে দায়ী করা হচ্ছে। সেই কারণে এবার অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বায়োমেট্রিক নথি সংগ্রহের কাজ শুরু হবে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে তা সম্পন্ন করা হবে বলে জানানো হয়েছে মণিপুর সরকারের তরফে।
শনিবার মণিপুরের স্বরাষ্ট্র দফতরের জয়েন্ট সেক্রেটারি পিটার সালাম এক বিবৃতিতে বলেছেন, "মায়ানমার থেকে অবৈধভাবে মণিপুরে ঢোকা সমস্ত অনুপ্রবেশকারীদের বায়োমেট্রিক নথি সংগ্রহ শেষ হওয়া অবধি মণিপুরের সমস্ত জেলায় এই অভিযান চালানো হবে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।" এই নথি সংগ্রহের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতিনিধিরা দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে মণিপুর সরকারের এই সিদ্ধান্তের জেরে রাজ্যের পরিস্থিতি নতুন করে অবনতি হয় কিনা সেদিকে নিশ্চিত ভাবে নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।