নিজস্ব সংবাদদাতা: পুদুচেরি যাওয়ার ট্রেন মিস করেছিলেন রূপক দাস। সময়ের মধ্য়ে কর্মস্থলে পৌঁছতেই হবে। অগত্যা বাধ্য হয়েই করমণ্ডল এক্সপ্রেসে চড়েন। তারপরেই হয় সেই ভয়ানক অভিজ্ঞতা। গর্ভবতী স্ত্রীকে বাড়িতে ছেড়ে দিয়ে তিনি কর্মস্থলে ফেরার জন্য টিকিট কাটলেও সেই ট্রেন মিস হওয়ার কষ্টের চেয়েও হয়তো এই অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হওয়ার যে জ্বালা সেটাই বহন করবেন সারাজীবন।
রূপক বলেন যে আচমকাই একটা প্রচন্ড আওয়াজ পেয়ে বুঝতে পারলেন ট্রেনটা বেলাইন হয়ে গিয়েছে। বাইরে তাকিয়ে দেখেন ইঞ্জিনটা একটা মালগাড়ির উপর উঠে গিয়েছে। আর ইঞ্জিন ছাড়াই এগোচ্ছে ট্রেন। কাঁচের জানালা ভেঙে বাইরে লাফ দেন। তার কিছুক্ষণের মধ্য়েই বেঙ্গালুরু-হাওড়া এক্সপ্রেসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। একেবারে গুড়িয়ে যায় বগিটা। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেন। করমণ্ডল এক্সপ্রেস থেকে একটা কাটা মাথা এমার্জেন্সি জানলা দিয়ে ছিটকে এসে পড়ে তাঁর বুকের উপর। একেবারে ফুটবলের মতো গড়িয়ে যায় সেই মাথা। এই দৃশ্য দেখার পর কয়েকদিন আর মুখে তুলতে পারেননি কিছু।