নিজস্ব সংবাদদাতা: ব্রিটেনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণের মধ্যেই উঠে এল ‘অভয়া’ প্রসঙ্গ। বৃহস্পতিবার অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কেলগ কলেজে ভাষণ দেওয়ার সময়, শ্রোতাদের মধ্যে থেকে একজন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সরাসরি তাঁর সরকারের ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ করা হয়।
এর জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "এটি বিচারাধীন বিষয়, এবং কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই এই মামলার দায়িত্ব নিয়েছে (সিবিআই তদন্ত করছে)। তদন্ত এখন আমাদের হাতে নেই। দয়া করে এই বিষয়টিকে রাজনৈতিক মঞ্চে পরিণত করবেন না। রাজনীতি করতে হলে বাংলায় যান, সেখানে আমার সঙ্গে করুন। এখানে নয়। আপনি নিশ্চয়ই বিষয়টি ভালো বোঝেন, সেটা ক্রাউড ফান্ডিং হোক বা অন্য কিছু।"
এই বিতর্কের মধ্যেই শ্রোতাদের মধ্যে কেউ চিৎকার করে কিছু বলতে থাকেন। তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আপনি পুরো মিথ্যে কথা বলছেন। ভাই, এরকম করবেন না। ডোন্ট ডু ইট ব্রাদার। আপনার প্রতি আমার স্নেহ আছে, কিন্তু এটাকে রাজনৈতিক মঞ্চ বানাবেন না। যদি রাজনৈতিক লড়াইয়ের ইচ্ছা থাকে, তাহলে বাংলায় যান এবং নিজের দলকে বলুন সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে শক্তিশালী হতে। আমার সঙ্গে লড়াই করতে আসবেন না।"
/anm-bengali/media/media_files/2025/03/28/GJya9B1iUgkJcmAhczVL.JPG)
এরপর, নিজের বিরোধী রাজনৈতিক জীবনের এক পুরনো ছবি দেখান মুখ্যমন্ত্রী, যেখানে তাঁর কপাল ও হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা ছিল। তিনি দাবি করেন, বিরোধী থাকার সময় তাঁকে খুনের চেষ্টা করা হয়েছিল। তখন শ্রোতাদের মধ্য থেকে একজন বলে ওঠেন, "কেউ আপনাকে খুনের চেষ্টা করেনি।" পাল্টা জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "এটি নাটকের মঞ্চ নয়। এই মঞ্চে যিনি কথা বলছেন, বাকিদের তা শুনতে দেওয়া উচিত।"
তিনি আরও বলেন, "এরকম খারাপ আচরণ করবেন না। এতে শুধু আমাকে অপমান করা হচ্ছে না, আপনার নিজের প্রতিষ্ঠানের মর্যাদাও নষ্ট হচ্ছে। আপনি আমাকে অসম্মান করতে পারেন, কিন্তু নিজের প্রতিষ্ঠানকে অসম্মান করবেন না।" পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, এই ঘটনাকে ব্যবহার করে পশ্চিমবঙ্গের ‘ন্যারেটিভ’ তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে, কিন্তু তাতে সফল হওয়া যাবে না। এমনকি তিনি সতর্ক করে দেন যে, "যাঁরা আজ অপমান করছেন, তাঁদের নেতারাও যদি কখনো এমন মঞ্চে আসেন, তাহলে তাঁরাও একই পরিস্থিতির মুখে পড়তে পারেন।"