নিজস্ব সংবাদদাতা: ভারতের একটি প্রধান কৃষি রাজ্য, মহারাষ্ট্র, উল্লেখযোগ্য দূষণ সমস্যার সম্মুখীন। বিভিন্ন কৃষি পদ্ধতি এই সমস্যায় অবদান রাখে। ফসল পোড়ানো একটি মূল কারণ, যা বায়ুতে ক্ষতিকারক দূষণকারী পদার্থ ছাড়ে। এই প্রথা ফসল কাটার সময় প্রচলিত, যা বায়ু দূষণের মাত্রা বৃদ্ধিতে অবদান রাখে।
সার ব্যবহারও দূষণে ভূমিকা রাখে। রাসায়নিক সারের অতিরিক্ত ব্যবহার মাটি ও জল দূষণের দিকে পরিচালিত করে। এই রাসায়নিক পদার্থ জলভাগে প্রবেশ করতে পারে, যা জলজ প্রাণীর এবং মানুষের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে। রাজ্যের এই ধরণের সারের উপর নির্ভরতা পরিবেশগত উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
কৃষিতে জল ব্যবহার মহারাষ্ট্রের পরিবেশকেও প্রভাবিত করে। সেচের জন্য ভূগর্ভস্থ জলের অতিরিক্ত উত্তোলন জল সম্পদের ক্ষয় করে। এই অসমর্থনযোগ্য প্রথা অন্যান্য ব্যবহারের জন্য বিশুদ্ধ জলের সরবরাহকে প্রভাবিত করে, যা পরিবেশগত ভারসাম্যহীনতায় অবদান রাখে।
মহারাষ্ট্র সরকার এই সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। জৈব চাষের প্রচার এবং ফসল পোড়ানো হ্রাস করা এগুলির মধ্যে রয়েছে। টেকসই পদ্ধতি উৎসাহিত করে, কর্তৃপক্ষ দূষণ কমাতে এবং প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা করার লক্ষ্য রাখে।
কৃষকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য শিক্ষাগত প্রোগ্রামও চালু রয়েছে। টেকসই কৃষি কৌশল এবং রাসায়নিক সার ব্যবহার হ্রাসের সুবিধাগুলি শেখানোর উপর এই উদ্যোগগুলি মনোনিবেশ করে।
এই প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, রাজ্যজুড়ে টেকসই পদ্ধতি বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কৃষকদের বারবার অর্থনৈতিক চাপের সম্মুখীন হতে হয় যা নতুন পদ্ধতি গ্রহণকে কঠিন করে তোলে। সফল বাস্তবায়নের জন্য সরকার এবং বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রের সমর্থনই গুরুত্বপূর্ণ।
স্বার্থের সমন্বয়ে এই বাধাগুলি অতিক্রম করতে সাহায্য করতে পারে। একসাথে কাজ করে, তারা মহারাষ্ট্রে আরও টেকসই কৃষি ব্যবস্থা তৈরি করতে পারে।