অজিত পাওয়ারের ভূমিকা স্বীকার করলেন মুখ্যমন্ত্রী

মহারাষ্ট্রে এখনও রাজনৈতিক আলোড়ন চলছে। এনসিপিতে বিদ্রোহের পর বুধবার ৫ জুলাই শরদ পাওয়ার ও অজিত পাওয়ার শক্তি প্রদর্শনের জন্য পৃথক বৈঠক করেন। যা একটি রেকর্ড।

author-image
SWETA MITRA
New Update
eknath ajit.jpg

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন একনাথ শিণ্ডে (Eknath Shinde)? রাজ্য রাজনীতিতে এখন এমনই গুজব উঠেছে। যদিও এহেন জল্পনার মাঝেই অবশেষে মুখ খুললেন একনাথ শিণ্ডে। তিনি আজ বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, ‘আমাদের সরকার আরও শক্তিশালী হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী ও অমিত শাহের বিপুল সমর্থন আমাদের সঙ্গে রয়েছে। অজিত পাওয়ারের (Ajit Pawar) যোগদানের ফলে আমাদের সরকার আরও শক্তিশালী হয়েছে। আমাকে নিয়ে অনেক গুজব উঠেছে। এনসিপি বদনাম করার চেষ্টা করছে। এনসিপি-র উচিত তাদের দলে কী ঘটছে তা নিয়ে আত্মবিশ্লেষণ করা। অজিত পাওয়ার প্রধানমন্ত্রী মোদীর ওপর আস্থা রেখেছেন। তিনি স্বীকার করেছেন যে রাজ্যে উন্নয়ন হয়েছে এবং তিনি রাজ্যে ডাবল ইঞ্জিন সরকার গঠনের বিষয়ে আমাদের চিন্তাভাবনাও ভাগ করে নিয়েছেন।‘ 

উল্লেখ্য,  মহারাষ্ট্রে এখনও রাজনৈতিক আলোড়ন চলছে। এনসিপিতে বিদ্রোহের পর বুধবার ৫ জুলাই শরদ পাওয়ার ও অজিত পাওয়ার শক্তি প্রদর্শনের জন্য পৃথক বৈঠক করেন।  যা কিনা এখনও অবধি একটি রেকর্ড বলে দাবি করছে বিশিষ্ট মহল। 

এদিকে গতকাল   মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় এক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে অজিত পাওয়ার তার বেদনা ও ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, 'আমি হৃদয়ের গভীর থেকে অনুভব করি যে আমার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়া উচিত। আমার কিছু পরিকল্পনা রয়েছে যা আমি বাস্তবায়ন করতে চাই এবং তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী হওয়া প্রয়োজন।‘

 

অজিত পাওয়ার কাকা শরদ পাওয়ারকে অবসর নেওয়ার পরামর্শও দিয়েছিলেন। গতকাল অজিত পাওয়ার কাকাকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, 'আপনি কি কখনো থামবেন কি না? আমাদের আশীর্বাদ করবেন।‘ বিজেপির উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, "বিজেপির নেতারা ৭৫ বছর বয়সে অবসর নেন। প্রত্যেকেরই নিজস্ব ইনিংস আছে। সবচেয়ে অর্থবহ সময় ২৫ থেকে ৭৫ বছর বয়সের মধ্যে।“

 

অন্যদিকে ভাইপো অজিত পাওয়ারকে আক্রমণ করে প্রবীণ এনসিপি নেতা শরদ পওয়ার বলেন, "অজিতের যদি কোনও সমস্যা থাকত, তাহলে তাঁর আমার সঙ্গে কথা বলা উচিত ছিল। তার মনে যদি কিছু থাকত, তাহলে তিনি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারতেন।“

 

বুধবার দুই পক্ষের বৈঠকে শক্তি প্রদর্শনও অনুষ্ঠিত হয়েছিল। অজিত পাওয়ারের ৩২ জন বিধায়ক রয়েছেন এবং সিনিয়র শরদ পাওয়ারের ৫৩ জন বিধায়কের মধ্যে ১৮ জন রয়েছেন। তিন বিধায়ক এখনও কোনও দলের সঙ্গে নেই। এদিকে শরদ পাওয়ার বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) দিল্লিতে দলের জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক ডেকেছেন।