নিজস্ব সংবাদদাতা: ২৪ জুন থেকে শুরু হচ্ছে ১৮তম লোকসভার প্রথম অধিবেশন। আজ নবনির্বাচিত সদস্যরা শপথ নেবেন। এর পরে, ২৬ জুন লোকসভার স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং ২৭ জুন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু উভয় কক্ষের যৌথ সভায় ভাষণ দেবেন। বিজেপি নেতা এবং সাতবারের সাংসদ ভর্ত্রিহরি মাহতাবকে সংসদের নিম্নকক্ষের অস্থায়ী স্পিকার (প্রোটেম স্পিকার) নিযুক্ত করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সোমবার রাষ্ট্রপতি ভবনে লোকসভার অস্থায়ী স্পিকার হিসাবে মাহতাবকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন।
শপথের কথা সংবিধানের তৃতীয় তফসিলে উল্লেখ আছে। এই অনুযায়ী- 'আমি...হাউসের (নিম্ন/উচ্চ কক্ষ) একজন সদস্য (নির্বাচিত/মনোনীত) হিসেবে ঈশ্বরের নামে শপথ করছি/সংবিধানের প্রতি সত্যিকারের আনুগত্যের শপথ করছি যে আমি ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং একতা রক্ষা করব এবং আমার দায়িত্ব বিশ্বস্তভাবে পালন করব সঠিক আবেগের সঙ্গে'।
যখন সংবিধান প্রণয়ন করা হচ্ছিল, তখন খসড়া কমিটির চেয়ারম্যান ডঃ বি আর আম্বেদকর শপথে ঈশ্বর (ঈশ্বর) শব্দটির উল্লেখ করেননি। সেই সময়, খসড়া কমিটি সংবিধানের প্রতি সত্য আনুগত্যের শপথের কথা বলেছিল, কিন্তু গণপরিষদের সদস্যরা যখন এটি নিয়ে আলোচনা করেন, তখন কেটি শাহ এবং মহাবীর ত্যাগীর মতো সদস্যদের জোরাজুরিতে 'ঈশ্বরের নামে শপথ' শব্দবন্ধটি যুক্ত করা হয়েছিল।
জনপ্রতিনিধিত্ব আইন, ১৯৫১- এর ধারা ৭৩- এর অধীনে, নির্বাচন কমিশন যখন ফলাফল ঘোষণা করে, তখন লোকসভার সাংসদের মেয়াদ শুরু হয়। কিন্তু শুধুমাত্র নির্বাচনে জয়লাভ করলেই সংসদের কার্যধারায় অংশ নেওয়ার অধিকার কোনো সংসদ সদস্যের হয় না। বিতর্কে অংশ নিতে এবং লোকসভায় ভোট দিতে, তাকে সংবিধানের ৯৯ নম্বর অনুচ্ছেদের অধীনে শপথ নিতে হবে। একইভাবে, যদি কেউ শপথ না নিয়ে এই ধরনের প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়, তাহলে ধারা ১০৪ অনুযায়ী ৫০০ টাকা জরিমানা রয়েছে। তবে এই নিয়মের ব্যতিক্রম আছে। একজন ব্যক্তি সংসদ সদস্য না হয়েও মন্ত্রী হতে পারেন। তবে তাকে ৬ মাসের মধ্যে লোকসভা বা রাজ্যসভার সদস্য হতে হবে। এই সময়ের মধ্যে তিনি সংসদের কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন কিন্তু ভোট দিতে পারবেন না। সাংসদদের শপথ নেওয়ার আগে লোকসভা কর্মীদের কাছে তাদের নির্বাচনী শংসাপত্র জমা দিতে হবে।