নিজস্ব সংবাদদাতাঃ খুব শীঘ্রই হতে চলেছে লোকসভা নির্বাচন। তবে এখনও লোকসভা ভোটের সময় জানানো হয়নি। এরই মধ্যে দেশ জুড়ে লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। বিজেপি দলের প্রস্তুতিও এখন তুঙ্গে।
গতকাল দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে বৈঠক শুরু হয়েছিল রাত সাড়ে দশটায়। সেই বৈঠক চলে রাত আড়াইটা পর্যন্ত। জানা গিয়েছে বৃহস্পতিবার বিজেপির জাতীয় নির্বাচন কমিটির পূর্ব নির্ধারিত এই বৈঠকে লোকসভার ১৬৫টি আসনের প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে।
মার্চ মাসের শুরুতেই প্রথম তালিকা ঘোষণা করে দেবে বিজেপি। গতকাল এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। এছাড়াও উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা, গোয়া, গুজরাতের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানও উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত আজ পশ্চিমবঙ্গে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দুই দিনের সফরে তিনি রাজ্যে আসছেন। রাজ্যে তিনটি জনসভা রয়েছে তাঁর। লোকসভা ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য সফরের প্রভাব কি ভোটে পরবে? উঠছে প্রশ্ন।
অন্যদিকে সন্দেশখালি ঘটনা নিয়ে এখনও উত্তপ্ত রাজ্য। দেশ জুড়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে জল্পনা। ৫৫ দিন পর অবশেষে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সন্দেশখালির মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানকে। এই মুহূর্তে তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। আসন্ন লোকসভা নির্বাচন সন্দেশখালি কাণ্ডের প্রভাব পড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে গভীর রাতে দলীয় বৈঠক করা হল কংগ্রেসে পুরনো রীতি। অন্যদিকে, অটল বিহারী বাজপেয়ী, লালকৃষ্ণ আদবানিদের সময় পর্যন্ত বিজেপিতে এই কালচার খুব একটা ছিল না। মোদী-শাহের সময়ে বেশি রাত পর্যন্ত দলীয় বৈঠকের সংস্কৃতি চালু হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাত দেড়টা-দুটোতেও পার্টির লোকজনকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেন।
বিজেপির নির্বাচন কমিটি ও সংসদীয় দলের বৃহস্পতিবারের বৈঠকটি হওয়ার কথা ছিল বিকালে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সময় বের করতে পারছিলেন না। সেই কারণেই ডিনারের পর বৈঠক শুরু হয়।
জানা গিয়েছে, বিজেপি ঠিক করেছে ১০ মার্চের মধ্যে দলীয় প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করে দেবে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবারের বৈঠকের অন্যতম আলোচ্য ছিল, কংগ্রেস-সহ অন্য দলগুলি থেকে আসা নেতাদের প্রার্থী করার মানদণ্ড। তবে, স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতাদেরই দল প্রার্থী করবে। কারণ, প্রধানমন্ত্রী এবার দুর্নীতিকেই বিরোধী দলগুলির বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার করতে চলেছে।