নিজস্ব সংবাদদাতা: এএপি নেতা গোপাল রাই নতুন মুখ্যমন্ত্রী শপথের আগেই এবার মুখ খুললেন। তিনি বলেছেন, "আমরা বিশেষ পরিস্থিতিতে নতুন মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আজ শপথ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি মন্ত্রীরাও শপথ নেবেন। শুধু দিল্লি নয়, গোটা দেশ জানে যে দিল্লির প্রাক্তন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লির জন্য যা ২০-৩০ বছরের পুরনো রাজ্য সরকার করতে পারেনি। এটা বন্ধ করতে বিজেপি ফাঁদ বেঁধে নেতাদের মিথ্যা মামলায় জেলে পুরেছে। সুপ্রিম কোর্ট সবাইকে মুক্ত করেছে কিন্তু আমাদের কারাগারে আসার পরে, সিএম অরবিন্দ কেজরিওয়াল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পেলেও, তিনি জনগণের আদালতে যাবেন এবং অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দুর্নীতিগ্রস্ত হওয়ার বিজেপির অভিযোগ জনগণের দ্বারা বিচার করা হবে। তিনি পদত্যাগ করেছেন এবং ঘোষণা করেছেন যে তিনি যদি সৎ হন তবে আগামী নির্বাচনে আমাদের ভোট দিন; এবং যদি তিনি সৎ না হন তবে আমাদের ভোট দেবেন না। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে আজ শপথ অনুষ্ঠানের পরে, পুরো দল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের শুরু করা কাজগুলি তাদের শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য কাজ করবে।" উল্লেখ্য, আচমকাই মুখ্যমন্ত্রীত্বর থেকে ইস্তফা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি তার মন্ত্রিসভার নেত্রী হিসাবে অতিশীকে বেছে নেন। তার কোথায় সম্মতি প্রকাশ করেন বাকি নেতারাও। তবে অতিশী জানিয়েছেন, তার লক্ষ্য ফের অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে দিল্লির শাসন ফিরিয়ে দেওয়া। তিনি দাবি করেছেন, অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠানো হয়। এখন দেখার দিল্লিতে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে দিল্লির মানুষ তাদের বিচারে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ক্লিনচিট দেয়, নাকি দিল্লির মানুষের চোখে অরবিন্দ কেজরিওয়াল গিল্টিই থাকেন।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .