নিজস্ব সংবাদদাতাঃ এবার বড় সিদ্ধান্তের পথে হাঁটল বিজেপি (BJP)। বলা ভালো বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। জানা গিয়েছে, এবার জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা আগামী ২০ আগস্ট হিমাচল প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রাজ্য সফর করবেন।
জানা গিয়েছে, জেপি নাড্ডা রবিবার সকাল ৯টায় পাওন্টা সাহিব (সিরমৌর) পৌঁছাবেন এবং তারপর সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে সড়কপথে সিরমৌরি তাল গ্রাম ও কচি ধাং পৌঁছাবেন। এরপর এলাকা পরিদর্শনের পর তিনি সকাল ১১টা ২০ মিনিটে সিমলার শিব বাউদি সামারহিলে পৌঁছাবেন এবং দুপুর ১টায় সিমলার হোটেল পিটারহফে ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযান সম্পর্কে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করবেন। এরপর বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে বিলাসপুরের সার্কিট হাউজে পৌঁছবেন তিনি। রাজ্যের এহেন বিপদের সময়ে জেপি নাড্ডা কী বলেন সেদিকে নজর রয়েছে সকলের।
এদিকে হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh) ভারী বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। টানা বৃষ্টিতে রাজ্যের রাস্তায় রাস্তায় জল জমে গিয়েছে। সেইসঙ্গে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে পাল্লা দিয়ে বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটছে। বিরাটভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাধারণ জনজীবন। দেখা দিয়েছে নানান সমস্যা। ফুঁসছে নদীগুলি। এরই মাঝে সকলের চিন্তা বাড়িয়ে রাজ্যে আবারও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
২১ থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এদিকে হিমাচল প্রদেশের মান্ডি জেলার সারকাঘাট বিধানসভা কেন্দ্রের পাত্রিঘাট পঞ্চায়েতের জাওয়ালি গ্রামটি ১২ আগস্ট রাতে বিধ্বস্ত হয়। জাওয়ালি গ্রামের অস্তিত্ব শেষ হয়ে গেছে বলে মনে হচ্ছে। মানুষ আতঙ্কে আছে, চোখে রয়েছে জল। এমন অনেক মানুষ আছেন যাদের কিছুই অবশিষ্ট নেই। এমন অনেক পরিবার আছে যারা গবাদি পশুর উপর নির্ভর করে বেঁচে থাকত। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভেসে গেছে গরু, মহিষ, ছাগলসহ সবকিছু। এখানকার কয়েক ডজন দরিদ্র পরিবারের কিছুই অবশিষ্ট নেই।
একটি পরিবারের তো আবার ৩ প্রজন্ম একসঙ্গে শেষ হয়ে গিয়েছে বলে খবর। ৬ মাস বয়সী শিশু থেকে শুরু করে ৮০ বছর বয়সী বৃদ্ধ পর্যন্ত প্রাকৃতিক রোষের মুখ থেকে বাঁচতে ছুটোছুটি করতে হচ্ছে। এমন অনেক মানুষ আছেন যাদের মাঠে রাত কাটাতে হচ্ছে। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে চাপা পড়েছে বহু মানুষ। উজাড় হয়ে গিয়েছে একের পর এক গ্রাম, এলাকা।
ধানেদ স্কুল এবং কালখারে প্রায় ৪০-৪৫ টি পরিবারের প্রায় ২০০ জন মানুষ বসবাস করেন। উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ধানেদে ১৫০ জন, বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে ৩০-৩৫ জন বসবাস করছে।