জম্মু ও কাশ্মীর: ভোট শতাংশের হিসাবে এক নম্বরে বিজেপি, মাত্র ২৯ আসনেই বাজিমাত বিজেপির, ৪২ টি আসন পেলেও ন্যাশেনাল কনফারেন্স থেকে ভোট শতাংশ কম পেয়েছে- জানিয়ে দেওয়া হল

কি বলা হল জম্মু ও কাশ্মীরের ফলাফল নিয়ে?

author-image
Aniket
New Update
modi shah nadda.jpg

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচনের ফলাফলে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে ৪২ টি আসন পেয়েছে ন্যাশেনাল কনফারেন্স। অপরদিকে বিজেপি পেয়েছে ২৯ টি আসন। তবে জম্মু ও কাশ্মীরে প্রাপ্ত ভোটের হিসাবে বিজেপির ভোট শতাংশই বেশি বলে জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। 

suvendu sad face
তিনি ট্যুইট করে বলেছেন, "গতকাল জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা ভোটের গণনা হয়, ভোটের ফল বলছে ২০১৪ সালের তুলনায় আসন বেড়েছে বিজেপির। এবার বিজেপি ২৯ টি আসনে জয় লাভ করেছে, অর্থাৎ ২০১৪ সালের তুলনায় ৪ টি বাড়তি আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি।

৩৭০ ধারা বাতিল এবং রাজ্য ভাগের পরে এই প্রথম বিধানসভা নির্বাচন হলো এই রাজ্যে। এই বার কাশ্মীর উপত্যকায় ভোটারদের অভূতপূর্ব অংশগ্রহণ ও শান্তিতে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া প্রমাণ করে যে, উপত্যকায় শান্তি ফেরাতে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত কতটা যুক্তিযুক্ত ছিল। 

 প্রাপ্ত ভোটের শতাংশে পয়লা বিজেপি:-

এবারের বিধানসভা নির্বাচনে শতাংশের হিসাবে বিজেপির ভোট প্রাপ্তি সাড়ে ২৫ শতাংশ। সংখ্যাগরিষ্ঠতার কাছাকাছি থাকা আবদুল্লাহদের এনসির দলের প্রাপ্ত ভোট; সাড়ে ২৩ শতাংশের চেয়ে ২% বেশি।
ভোট শতাংশের বিচারে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যে 
ভারতীয় জনতা পার্টি হলো একক বৃহত্তম দল।

সব থেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো যে ২৮ টি আসনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করেই বিজেপি এই ভোট পেয়েছে।
অন্যদিকে গতবার কংগ্রেস ১৮ শতাংশ ভোট পেয়ে ১২টি আসনে জিতেছিল কিন্তু এবার কংগ্রেস অর্ধেক হয়ে গিয়েছে, আসন সংখ্যা মাত্র ছয়।
সনাতনী প্রধান জম্মুতে যেখানে সব আসনই প্রায় বিজেপি জিতেছে সেখানে খাতাই খুলতে পারেনি কংগ্রেস।

তফসিলি জাতিদের জন্যে সংরক্ষিত আসনের ফলাফল:-

তফসিলি জাতিদের জন্যে সংরক্ষিত ৭ টি বিধানসভা কেন্দ্রের সাতটি আসনেই এক মাত্র ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীরা জয় লাভ করেছেন। এর থেকে প্রমাণিত যে কংগ্রেস, বিশেষত রাহুল গাঁধী যে বিভাজনের রাজনীতিতে ইন্ধন যোগানোর চেষ্টা করে সনাতনী ভোট ভাগ করার ছক কষেছিলেন তা তফসিলি জাতির সম্মানীয় জনগোষ্ঠী প্রত্যাখ্যান করেছেন।

 কাশ্মীর উপত্যকায় বিজেপি:-

এবার কাশ্মীর উপত্যকায় বিজেপি মাত্র ১৯ টি আসনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলো।
বারামুল্লা জেলার গুরেজ আসনে মাত্র ১,১৩২ ভোটে পরাজিত হয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসেন বিজেপি প্রার্থী ফকির মহম্মদ খান।
এই আসনের ৯৮ শতাংশ ভোটার হলেন মুসলিম।
এ ছাড়া আরও একটি আসনে বিজেপি প্রার্থী দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জির নেতৃত্বে কাশ্মীর উপত্যকাতেও বিজেপি জনগণের ভরসা অর্জন করার পথে এগোচ্ছে।

 উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয়:-

> ৫ টি আসনে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীরা ২০,০০০ ভোটের অধিক ব্যবধানে জয় লাভ করেছেন।

> পুরো রাজ্যের মধ্যে সর্বাধিক ব্যবধানে জয় লাভ করেছেন ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী শ্রী দেভেন্দর সিংহ রানা। উনি নাগরোটা আসনে ৩০,৪৭২ ভোটে জিতেছেন।

> জয় লাভ করেছেন কিশতওয়ার বিধানসভা কেন্দ্রের ২৯ বছরের মহিলা বিজেপি প্রার্থী শগুন পরিহার। পাঁচ বছর আগে সন্ত্রাসবাদী হামলায় শগুন তাঁর বাবাকে হারান। কিশতওয়ার বিধানসভা কেন্দ্রে মুসলিম ভোটার শতাংশ যথেষ্ট, তবু এই জাতীয়বাদী বিজেপি  প্রার্থী মানুষের সমর্থন আদায় করতে সফল হয়েছেন। 

> কাঠুয়া বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী শ্রী ভারত ভূষণ ১২,০০০ এর বেশি ভোটের ব্যবধানে জয় লাভ করেছেন, পাশাপাশি এই এলাকার বিতর্কিত নেতা চৌধুরী লাল সিং কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে বাশোলি বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী শ্রী দর্শন কুমারের কাছে ১৬,০০০ ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন।

সর্বশেষে এ কথা বলাই যায় যে জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি শুধু ভালো ফলাফল করেছে তাই নয়, ভবিষ্যতে ক্ষমতায় আসার ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়েছে।