নিজস্ব সংবাদদাতা: চাঁদের মাটিতে পৌঁছে প্রথম কয়েকদিনে পরিকল্পনা মাফিক দাপট দেখিয়ে বেশ কাজ করে গেছে চন্দ্রযান ৩ এর রোভার প্রজ্ঞান ও ল্যান্ডার বিক্রম। তবে ‘লুনার নাইট’ শুরু হতেই তারা নিস্তেজ হয়ে গেছে। প্রজ্ঞানকে আপাতত জাগিয়ে তুলতে ইসরোর কালঘাম ছুটছে। এরই মধ্যে আশঙ্কা দানা বাঁধছে যে প্রজ্ঞান যদি আর কোনও দিনও না জাগতে পারে তাহলে কী হবে? আশঙ্কার মাঝে এই নিয়ে মুখ খুললেন ইসরো প্রধান এস সোমনাথ।
ইসরো প্রধান এস সোমনাথ বলেন যে যদি রোভার প্রজ্ঞান নাও জেগে উঠতে পারে, তাহলেও সমস্যা নেই। কারণ যা আশা করা হয়েছিল, তা করে দেখিয়েছে প্রজ্ঞান। উল্লেখ্য, বর্তমানে প্রজ্ঞান রয়েছে গভীর ঘুমের দেশে। ইসরো প্রধান এস সোমনাথ বলছেন যে প্রজ্ঞান জেগে উঠবে যদি তার ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তবেই। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে মাইনাস ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এখন রোভার প্রজ্ঞান ও বিক্রম ল্যান্ডার রয়েছে। সেক্ষেত্রে চাঁদের চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ায় প্রবল ঠান্ডায় চন্দ্রযান ৩- এর সমস্ত যন্ত্রাংশের মধ্যে ইলেকট্রনিক যন্ত্রগুলি যাতে ঠিক থাকে, তার চেষ্টায় রয়েছে ইসরো। এখনও পর্যন্ত চাঁদ থেকে ইসরোর কাছে প্রজ্ঞানদের তরফে কোনও সিগন্যাল দেওয়া হয়নি। ফলে প্রজ্ঞানের ঘুম ভেঙেছে কি না সেটা নিয়ে বড় একটা প্রশ্ন রয়েছে।
গত ৪ ও ২ সেপ্টেম্বর থেকে চাঁদের মাটিতে ‘স্লিপ মোড’ এ দেখা যাচ্ছে ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞানকে। এদিকে, লুনার নাইট কাটিয়ে তারা কখন জাগবে সেদিকে সবাই তাকিয়ে রয়েছে। অন্যদিকে, গগনযান নিয়ে তোরজোড় শুরু করে দিয়েছে ইসরো। তবে ইসরোর প্রধান জানিয়েছেন যে আপাতত তাঁরা পরবর্তী মিশন নিয়েও ভাবাভাবি শুরু করে দিয়েছেন। ইসরোর পরবর্তী মিশন হল ‘এক্সপো স্যাট’ বা এক্স রে পোলারিমিটার স্যাটেলাইট। ইনস্যাট থ্রিডিএস হল ইসরোর পরবর্তী লঞ্চগুলির একটি। এই নিয়ে অভিযান ডিসেম্বরে হতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। এটি আবহাওয়া সংক্রান্ত স্যাটেলাইট বলে জানা গেছে। তবে সবের মধ্যেই ধীরে ধীরে ল্যাগারেঞ্জ পয়েন্টের দিকে এগিয়ে যেতে শুরু করেছে আদিত্য এল১। সেদিক থেকেও ইসরো সূর্য গবেষণার দিকে অনেক ধাপ এগিয়ে গিয়েছে।