নিজস্ব সংবাদদাতা : ইজরায়েলের দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে বিমান হামলা চালায়। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ঘন জনবসতি এলাকায় হামলা চালনা হয়েছে। ঘটনায় কমপক্ষে ৬৭ জন নিহত হয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, রাফাহ শহরে ইজরায়েলের হামলায় ১৪টি বাড়ি ও তিনটি মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মসজিদ হামলার জেরে কমপক্ষে ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, হামাসের তরফে জানানো হয়েছে ১০০ জনের বেশি এই হামলায় নিহত হয়েছেন। হামাসের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ইজরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক নাগরিকদের নিশানা করেছে। রাফাহতে এই হামলার জেরে বহু মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
অন্যদিকে, ইজরায়েলের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, রাফাহের শাবোরা জেলায় বেশ কয়েকটি "সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে" হামলা করা সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি ইজরায়েলের তরফে দাবি করা হয়েছে, রাহাফ শহর থেকে বেশ কয়েকজন যুদ্ধবন্দিদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। যাদের হামাস ইজরায়েল থেকে বন্দি করেছিল। দুই জন বন্দিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ফার্নান্দো সাইমন মারমান এবং লুই হার নামে উদ্ধার করা বন্দিদের অবস্থা বর্তমানে ভালো। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, গাজার ওপর আক্রমণ এখনই বন্ধ করা হবে না। তিনি এক বিবৃতিতে জানান, "সম্পূর্ণ বিজয় না আসা পর্যন্ত গাজার ওপর হামলা অব্যাহত থাকবে। সামরিক চাপের জেরেই গাজা থেকে ইজরায়েলের নাগরিকদের মুক্তি ছিনিয়ে আনা সম্ভব হবে। গাজার রাফাহ শহর তুলনামূলক নিরাপদ ছিল। তাই অনেক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে রাফাহতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। যার ফলে রাফাহতে ইজরায়েলের হামলায় প্রচুর সাধারণ মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। গাজার জনসংখ্যার অর্ধেক রাফাহ শহরে বাস করেন। " হামাস রাফাহতে ইজরায়েলের হামলার নিন্দা করেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন রবিবার ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে সতর্ক করেছেন যে শহরে গাজার অসহায় মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন, সেখানে যেন হামলা না করা হয়। জো বাইডেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে রাফাতে অভিযান না করার আহ্বান জানান।