নিজস্ব সংবাদদাতা: মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের মনোরম পহেলগাঁওয়ে নৃশংস সন্ত্রাসী হামলা হয়। বর্বরোচিত হামলায় মোট ২৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং সেই তালিকায় এসেছে সামনে। পাকিস্তান-ভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়বা সমর্থিত একটি দল রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) দ্রুত এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।
এই ট্র্যাজেডি একটি গুরুতর প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে: এটি কি ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলির ব্যর্থতা? পরিস্থিতি জটিল। গোয়েন্দাদের দুর্বলতাই কি দায়ী এর জন্য?
২০১৯ সালে পুলওয়ামায় বোমা হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত এই হামলা হল এই অঞ্চলের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার একটি। 'মিনি সুইজারল্যান্ড' নামে পরিচিত একটি বিখ্যাত পর্যটন স্থানে এত সুপরিকল্পিত, বড় আকারের হামলার ঘটনা বাস্তব সময়ের নিরাপত্তা এবং নজরদারি নিয়ে সন্দেহ তৈরি করে জনমানসে। এটি দর্শায় যে সন্ত্রাসীদের এখনও থামানো যায়নি বলেই তারা প্রকাশ্য দিবালোকে এই হামলা চালানোর পরিকল্পনা করতে এবং সেটা ফলপ্রসূ করতে সক্ষম হয়েছে। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি আগেও এই এলাকায় সন্দেহজনক কার্যকলাপ লক্ষ্য করেছিল বলে দাবি করা হচ্ছে এখন। সন্ত্রাসীদের নজরদারি চালাতেও দেখা গেছে, অর্থাৎ হামলার আগে তারা এলাকাটি পরীক্ষা করছিল। কিন্তু তাদের থামাতে বা নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য কোনও জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এটি হামলা প্রতিরোধে গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহারের ব্যর্থতার দিকে ইঙ্গিত করে। এই এলাকাটিতে এই সময়ে প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটকের আগমন ঘটে। এই পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে এবং এই সময়ে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ভারত সফরে আসার কারণে, অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত ছিল। দুঃখের বিষয়, তা করা হয়নি। ফলাফল, বলি দিতে হল ২৬টি প্রাণের।
/anm-bengali/media/post_attachments/thumb/msid-120535326,imgsize-70294,width-400,resizemode-4/Pahalgam-Jammu-Kashmir-Apr-22-ANI-A-tourist-in-shock-and-grief-as-terro--497819.jpg)