নিজস্ব সংবাদদাতা: ছট পূজা, একটি হিন্দু উৎসব, ভারতের যুবকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। মূলত বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং উত্তর প্রদেশে পালিত, এটি সূর্য দেবতা এবং ছঠী মাইয়ার সম্মান জানায়। উৎসবটির মধ্যে অনশন, প্রার্থনা অর্পণ এবং নদীতে পবিত্র স্নান করা অন্তর্ভুক্ত। যুবকদের মধ্যে এর ক্রমবর্ধমান আকর্ষণ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতি নবায়িত আগ্রহকে তুলে ধরে।
ছট পূজার তাৎপর্য
উৎসবটি চার দিন স্থায়ী হয়, নহায়-খায় দিয়ে শুরু হয়। ভক্তরা তাদের বাড়ি পরিষ্কার করে এবং ঐতিহ্যবাহী খাবার তৈরি করে। দ্বিতীয় দিন, খড়না নামে পরিচিত, তারা সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অনশন পালন করে। তৃতীয় দিনে সন্ধ্যার অর্ঘ্য, যেখানে ভক্ত সূর্যাস্তের সময় প্রার্থনা অর্পণ করে। চূড়ান্ত দিনটি উষার অর্ঘ্য, সকালের অনুষ্ঠানগুলির সাথে।
যুবকদের অংশগ্রহণ
নবীন প্রজন্ম ক্রমবর্ধমানভাবে ছট পূজায় অংশগ্রহণ করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এর তাৎপর্য সম্পর্কে সচেতনতা ছড়াতে ভূমিকা পালন করে। অনেক যুবক অনলাইনে তাদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেয়, সম্প্রদায়বোধ তৈরি করে। ডিজিটাল প্রতিশ্রুতি আধুনিক সময়ের সাথে খাপ খাওয়ানোর সময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে সাহায্য করে।
পরিবেশ সচেতনতা
ছট পূজা পরিবেশ সচেতনতাও প্রচার করে। অংশগ্রহণকারীরা নদী তীর পরিষ্কার করে এবং অনুষ্ঠানের সময় ক্ষতিকারক উপকরণ ব্যবহার এড়িয়ে চলে। এই পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি পরিবেশ সচেতন যুবকদের সাথে সহমর্মিতা তৈরি করে। এটি ঐতিহ্যবাহী মূল্যবোধের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ টেকসই অনুশীলনকে উৎসাহিত করে।
সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণ
ছট পূজায় আগ্রহ পুনরুজ্জীবিত হওয়া ভারতীয় যুবকদের মধ্যে সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণের একটি বৃহত্তর প্রবণতাকে প্রতিফলিত করে। এই ঐতিহ্যগুলিকে আলিঙ্গন করে, তারা তাদের শিকড়ের সাথে সংযোগ স্থাপন করে এবং সম্প্রদায় বন্ধনকে শক্তিশালী করে। এই নবায়িত উৎসাহ ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সংরক্ষণ নিশ্চিত করে।