ট্রেন অপহরণের নেপথ্যে ভারত! পাকিস্তানের অভিযোগে কড়া জবাব নয়াদিল্লির

ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, বিশ্ব জানে সন্ত্রাসের আঁতুর ঘর কোথায়।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
pakistan train haijack


নিজস্ব সংবাদদাতা: পাকিস্তানের বালোচিস্তানে নজিরবিহীন ট্রেন অপহরণের ঘটনায় ৩০ ঘণ্টার অভিযানে যাত্রীদের মুক্ত করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। ৪০০ জন যাত্রী নিয়ে চলা জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনটি অপহরণ করেছিল বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)। অপহরণের পর পাক সেনার অভিযানে ৩৩ জন বালোচ যোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসলামাবাদ।

এই ঘটনায় পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ভারতের বিরুদ্ধে ইঙ্গিতপূর্ণ অভিযোগ তোলা হয়। পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র শফাকত আলি খান দাবি করেন, বালোচ বিদ্রোহীরা আফগানিস্তানে তাদের "মাস্টারমাইন্ডদের" সঙ্গে সমন্বয় রেখে এই হামলা চালিয়েছে। তিনি আরও বলেন, "আমাদের অঞ্চলে এমন অনেক শক্তি রয়েছে, যারা শান্তি চায় না এবং পাকিস্তানের সন্ত্রাস দমন প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করতে চায়।"

পাকিস্তানের এই অভিযোগের পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারত। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের এক বিবৃতিতে স্পষ্ট ভাষায় জানানো হয়েছে, "পাকিস্তানের ভিত্তিহীন দাবি আমরা কড়া ভাষায় প্রত্যাখ্যান করছি। গোটা বিশ্ব জানে গ্লোবাল সন্ত্রাসের কেন্দ্র কোথায়। নিজেদের ব্যর্থতার দায় অন্যের ওপর চাপানো পাকিস্তানের উচিত নয়।"

s jaishankarty1.jpg


পাকিস্তানের দাবি, কোয়েটা থেকে পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেসে বহু পাক সেনার সদস্য ছিলেন। ট্রেনটি অপহরণের পর বালোচ যোদ্ধারা শিশু, মহিলা ও বয়স্ক যাত্রীদের স্বেচ্ছায় ছেড়ে দেয়। তবে বন্দিদের মুক্ত করতে পাক সেনার ৩০ ঘণ্টার সময় লেগেছে। বিএলএ-র দাবি, এই ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে তারা নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক ও স্বাধীন সাংবাদিকদের সংঘাতস্থলে নিয়ে যাওয়ার জন্য পাকিস্তান প্রশাসনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে। তবে ইসলামাবাদ এখনো সেই আহ্বানে সাড়া দেয়নি।

এদিকে, পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত ইস্যুতে আফগানিস্তানের সঙ্গে সংঘাতে জড়িত। ইসলামাবাদের অভিযোগ, তেহরিক-এ-তালিবান আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করে পাকিস্তানে হামলা চালাচ্ছে। তবে কাবুল সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে।

এই ঘটনার পর দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।