দেশজুড়ে দিওয়ালির বেশ কিছু প্রসিদ্ধ মিষ্টি রয়েছে, চেখে দেখবেন নাকি?

এই মিষ্টি গুজরাটে দীপাবলি উদযাপনে বিশেষ স্থান অধিকার করে।

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
আপডেট করা হয়েছে
New Update
diwali fgbfghy

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: দীপাবলি, আলোর উৎসব, সারা ভারত জুড়ে ব্যাপক উৎসাহে উদযাপিত হয়। লাড্ডু এবং বরফির মতো মিষ্টি খাবার সাধারণ হলেও, প্রতিটি রাজ্যের নিজস্ব অনন্য সুস্বাদু খাবার রয়েছে। আসুন আমরা এই জীবন্ত উৎসবে স্বাদ যোগ করে এমন কিছু কম পরিচিত সুস্বাদু খাবার আবিষ্কার করি।

পশ্চিমবঙ্গের নারকেল নারু
নারকেল নারু পশ্চিমবঙ্গের একটি নারকেল ভিত্তিক মিষ্টি। গুড় বা চিনি দিয়ে তৈরি, এই গোলাকার সুস্বাদু খাবারটি দীপাবলিতে অবশ্যই খেতে হবে। উপকরণের সরলতা এটিকে বাঙালিদের কাছে প্রিয় করে তুলেছে।

naru.jpg

মহারাষ্ট্রের শংকরপালি
শংকরপালি মহারাষ্ট্রের একটি ক্রিস্পি স্ন্যাক। আটা, চিনি এবং ঘি দিয়ে তৈরি, এটি মিষ্টি এবং ক্রঞ্চির একটি নিখুঁত মিশ্রণ প্রদান করে। এই সুস্বাদু খাবারটি প্রায়শই পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য বড় প্যাঁচে তৈরি করা হয়।

গুজরাটের মোহনথাল
মোহনথাল হল গুজরাটের একটি ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি যা ছোলা থেকে তৈরি। এটি একটি সমৃদ্ধ জমিন আছে এবং এলাচ এবং কেসর দিয়ে সুস্বাদু। এই মিষ্টি গুজরাটে দীপাবলি উদযাপনে বিশেষ স্থান অধিকার করে।

mohanthal1

তামিলনাড়ুর অধিরসাম
অধিরসাম তামিলনাড়ুর একটি ভাজা মিষ্টি। চালের গুড়ো এবং গুড় দিয়ে তৈরি। এই সুস্বাদু খাবার তৈরির জন্য দক্ষতা প্রয়োজন কিন্তু এর অনন্য স্বাদের জন্য এটি প্রচেষ্টার যোগ্য।

কর্ণাটকের চিরোটি
চিরোটি কর্ণাটকের একটি পাতলা পেস্ট্রি, যা প্রায়শই গুঁড়ো চিনি দিয়ে ছিটিয়ে দেওয়া হয় বা চিনির সিরাপে ডুবিয়ে রাখা হয়। এর সূক্ষ্ম স্তরগুলি এটিকে অঞ্চলের দীপাবলির ভোজের জন্য একটি মার্জিত সংযোজন করে তোলে।

বিহারের ঠেকুয়া
ঠেকুয়া বিহারের একটি ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি যা গমের আটা, গুড় এবং নারকেল দিয়ে তৈরি। এটি সোনালি বাদামী হওয়া পর্যন্ত ভাজা হয় এবং একটি ক্রঞ্চি টেক্সচার থাকে। ঠেকুয়া কেবল দীপাবলিতে নয় বরং অন্যান্য উৎসবগুলিতেও উপভোগ করা হয়।

অসমের নারকেল লাড্ডু
অসমের নারিকোল লাড্ডুতে নারকেল মূল উপাদান। এই লাড্ডুগুলি সহজ কিন্তু সুস্বাদু, প্রায়শই মিষ্টির জন্য চিনি বা গুড়ের মতো কম উপাদান ব্যবহার করে তৈরি করা হয়।

দীপাবলিতে এই আঞ্চলিক সুস্বাদু খাবারগুলি ভারতের রান্নার বৈচিত্র্যকে উজ্জ্বল করে তোলে। প্রতিটি রাজ্য টেবিলে নিজস্ব স্বাদ আনে, যা দেশজুড়ে খাবারপ্রেমীদের জন্য উৎসবকে আরও আনন্দদায়ক করে তোলে।