নিজস্ব সংবাদদাতাঃ রাজ্যে কদিন আগেই আছড়ে পড়েছিল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রেমাল। ২০২৪ সালের শুরু থেকেই যেই পরিমাণ শীত পড়েছিল, ঠিক তেমনই এবছর গরমের উত্তাপ চড়াও হয়েছে। জানা গিয়েছে, এবার গরম শেষে বৃষ্টির পরিমাণও বাড়বে। যা হয়তো গত কয়েক দশকে দেশের মানুষ দেখেনি। এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এবছর ব্যাপক বৃষ্টির যে পূর্বাভাস পাওয়া গিয়েছে। যার মূল কারণ হল লা নিনা। এনসো জলবায়ুর তিনটি পর্যায়ের মধ্যে একটি হল এল নিনো, যেটি উষ্ণ অবস্থাকে বোঝায়। অন্যদিকে, জলবায়ুর একটি পর্যায় হল লা নিনা, যেটি হল নিরপেক্ষ ও শীতল।
জানা গিয়েছে, জুন মাসেই এনসো জলবায়ুর নিরপেক্ষ অবস্থায় আবির্ভাব ঘটবে এবং জুলাই মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাসে তা লা নিনায় রূপান্তরিত হয়ে যাবে। লা লিনার ফলে এই বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রবল ঝড়বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব অঞ্চলে বাতাসের চাপ কমে গেলে যেই পরিস্থিতির তৈরি হয় সেটিকে লা নিনা বলা হয়। এই পরিস্থিতি বিশ্বের তাপমাত্রাকে বেশ চরমভাবে প্রভাবিত করে। লা নিনার ফলে শুধুমাত্র প্রবল মাত্রায় বৃষ্টিপাত হয় না, এর ফলে শৈৎ প্রবাহের মাত্রাও বৃদ্ধি পায়। আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, চলতি বছরে লা নিনার প্রভাবে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে প্রবল মাত্রায় বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, লা নিনার প্রভাবে ভারতের বেশ কিছু অঞ্চলে এর প্রভাব বেশি পরিমাণে পড়তে পারে। ভারতের দক্ষিণ উপদ্বীপ, মধ্য ভারত ও ভারতের উত্তর-পশ্চিমের বেশ কিছু অঞ্চলে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জুন মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত গড় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতের একাধিক অঞ্চলে। তবে, ভারতের বাকি অঞ্চলে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। যার ফলে ভারতের এই অঞ্চল গুলোতে ব্যাপক প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা রয়েছে। এসব অঞ্চলে বন্যা থেকে শুরু করে ভূমিধসও হতে পারে।
লা নিনার প্রভাবে অতিরিক্ত মাত্রায় ঝড়বৃষ্টির পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। লা নিনা পরিস্থিতিতে ভারত মহাসাগরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি হতে পারে। যার ফলে ঘূর্ণিঝড়ের প্রবণতাও বৃদ্ধি পায়। যার ফলে চলতি বছরে ভারতের অন্যান্য রাজ্যের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও ঝড়বৃষ্টি এবং ব্যাপক দুর্যোগের আশঙ্কা রয়েছে।