নিজস্ব সংবাদদাতা:কাশ্মীরের গুলমার্গ, পাহলগাম, সোনমার্গ, কুপওয়ারা এবং মাচিলে প্রবল তুষারপাত হয়েছে। শ্রীনগরের তাপমাত্রা মাইনাস ০.৫ ডিগ্রির নিচে চলে গেছে। অনেক এলাকায় জলের উৎস জমে গেছে। কাশ্মীরের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শ্রীনগরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শূন্যের নিচে পৌঁছেছে। ঠান্ডার কারণে পানীয় জল সরবরাহে সমস্যা হচ্ছে।
বিশ্ব বিখ্যাত গুলমার্গে তুষারপাত স্কিইং প্রেমীদের আকৃষ্ট করেছে। এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে শূন্যের নিচে ৩.৪ ডিগ্রি। লাদাখের লেহ এবং কার্গিলে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যথাক্রমে মাইনাস 7.2 এবং 5.6 ডিগ্রি সেলসিয়াস। জোজিলায় তা মাইনাস ১৮ ডিগ্রিতে পৌঁছেছে। হিমাচল প্রদেশের সিমলা, কুল্লু এবং মানালিতেও তুষারপাত অব্যাহত রয়েছে। এখানে প্রচুর পর্যটক আসছেন। উত্তরাখণ্ডের মুসৌরি, নৈনিতাল ও আউলির মতো এলাকায় তুষারপাত শুরু হয়েছে। শীতের জেরে বিপর্যস্ত হচ্ছে জনজীবন।
উত্তর ভারতের সমভূমিতেও ঠান্ডার প্রভাব বেড়েছে। দিল্লি, হরিয়ানা ও পাঞ্জাবে তাপমাত্রা দ্রুত কমতে শুরু করেছে। আগামী দুই দিন কাশ্মীর ও হিমালয় অঞ্চলে বৃষ্টি ও তুষারপাতের সতর্কবার্তা দিয়েছে আইএমডি। এছাড়া সমতল ভূমিতেও ঠাণ্ডা বাতাস বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তুষারপাত ও শৈত্যপ্রবাহের কারণে অনেক জায়গায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে কাশ্মীর ও হিমাচলের রাস্তায় তুষার জমে যাতায়াত করা কঠিন হয়ে পড়ছে। আইএমডি মানুষকে ঠান্ডা এড়াতে গরম কাপড় পরার পরামর্শ দিয়েছে, বাড়িতে থাকতে হবে এবং প্রয়োজন হলেই ভ্রমণ করতে হবে।