নিজস্ব সংবাদদাতাঃ আবারও বদলে গেল আবহাওয়ার মেজাজ। রবিবার দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, পশ্চিম থেকে পূর্ব এবং উত্তর থেকে দক্ষিণ ভারতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত (Heavy Rainfall) হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে রেল ও সড়ক পরিবহণ মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হয়েছিল। উত্তরাখণ্ডে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ভূমিধসের কারণে বদ্রীনাথ জাতীয় মহাসড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এদিকে রবিবারের পর আজ সোমবারও দেশের অধিকাংশ রাজ্যে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে বলে পূর্বাভাস জারি করেছে ভারতীয় আবহাওয়া দফতর বা আইএমডি (IMD)।
আবহাওয়া দফতরের (আইএমডি) সর্বশেষ আপডেট অনুসারে, দিল্লি-এনসিআরের আকাশ বর্তমানে মেঘলা রয়েছে এবং সোমবারও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এটি শনি-রবিবারের মতো দ্রুত হবে না বরং হালকা বৃষ্টি হবে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে রাজস্থানে (Rajasthan) ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ঝাঁসি বিভাগের হেতমপুর-ধোলপুরের মধ্যে ঝাঁসি-দিল্লি রেলপথ ভেঙে পড়েছে। রেললাইনের নিচে থাকা বালি ও কাদা পড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন স্থানে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর জেরে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা রেল চলাচল ব্যাহত হয়। একই সঙ্গে বন্দে ভারত, শতাব্দী, গতিমান, রাজধানীসহ ২০টি ট্রেন কয়েক ঘণ্টা দেরিতে চলাচল করছে। দুটি যাত্রীবাহী ট্রেন বাতিল করেছে রেল।
মোরাদাবাদে (Moradabad) ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছে। উপনিবেশগুলোতে জল প্রবেশ করেছে। মুন্ডাপাণ্ডের কাছে রেললাইন ডুবে যাওয়ায় মোরাদাবাদ এবং বেরেলির মধ্যে ট্রেন পরিষেবা স্থবির হয়ে পড়ে। এর ফলে কাঠগোদাম-জয়সলমীর, কাঠগোদাম-দেরাদুন সহ মোরাদাবাদ ডিভিশনের আটটি ট্রেন বাতিল করতে হয়েছে।
গাজিয়াবাদে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে রাস্তাগুলি প্লাবিত হয়েছে। অনেক কলোনিতে হু হু করে জল ঢুকে পড়েছে। মানুষ ঘরবন্দি হয়ে রয়েছে। এদিকে গাড়িগুলো জলে তলিয়ে গেছে। লালকুয়ায় মাঝরাস্তায় একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণহীনভাবে উল্টে যায়। এদিকে লাগাতার বৃষ্টির কারণে দিল্লির তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে গিয়েছে। সেখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় ৩৮.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
তিন দিনের বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি চামোলিতেও রবিবার মরসুমের প্রথম তুষারপাত হয়েছে। বৃষ্টি ও তুষারপাতের কারণে বদ্রীনাথ ধাম, হেমকুন্ড সাহিব এবং ফুলের উপত্যকায় শীত শুরু হয়েছে। কেদারনাথ পাহাড় ছাড়াও নীলকণ্ঠ, বদ্রীনাথ ধামের নর নারায়ণ পর্বতসহ অন্যান্য চূড়ায় তুষারপাত হয়েছে।