সমুদ্র সৈকত থেকে বেআইনি বালি উত্তোলন! তদন্তের নির্দেশ মাদ্রাজ হাইকোর্টের

২০০০-২০০১ থেকে শুরু করে ২০১৬-১৭ সাল পর্যন্ত থুতুকুড়ি, তিরুনেলভেলি এবং কন্যাকুমারী জেলায় ব্যাপক হারে বালি ও অন্যান্য খনিজ সম্পদ সমুদ্র সৈকত থেকে চুরির অভিযোগে ২০১৫ সালে জনস্বার্থ মামলা।

author-image
Jaita Chowdhury
আপডেট করা হয়েছে
New Update
fsfsf

ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা: সমুদ্র সৈকত থেকে বেআইনি বালি উত্তোলনের অভিযোগে এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ মাদ্রাজ হাইকোর্টের। রাজনৈতিক যোগাযোগের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না, অভিমত আদালতের। তামিলনাড়ুর সমুদ্র সৈকতে থেকে বেআইনিভাবে বিপুল বালি উত্তোলনের অভিযোগ। কম করে ৫৮৩২ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির সম্ভাবনা।

মাইনিং লিজ বা অনুমোদন ছাড়া বেআইনি বালি উত্তোলনের লিজ প্রদান, উপযুক্ত নজরদারির অভাব, যেমন খুশি রয়্যালটি নির্ধারণ, যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে অনিহা ইত্যাদি অজস্র অভিযোগ আদালতে। ফলে রাজনীতিবিদ, আমলাতন্ত্র এবং বেসরকারি বালি উত্তোলন সংস্থাগুলির মধ্যে অবৈধ বোঝাপড়া থাকার প্রভূত সম্ভবনা আদালতে।

বিষয়টির সঙ্গে দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা জড়িত বলেই এই ক্ষেত্রে বহুমুখী শৃঙ্খলাভঙ্গের তদন্ত প্রয়োজন। বিপুল অর্থের দুর্নীতি হয়েছে বলেই এক্ষেত্রে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ছাড়াও আয়কর দফতর, কাস্টমস ও এক্সাইজ দপ্তর এবং কমার্শিয়াল ট্যাক্সেস দপ্তরসহ অন্যান্য দফতর দ্বারাও তদন্তের প্রয়োজন আছে কিনা তা কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য বিবেচনা করে পদক্ষেপ করুক। এছাড়া এই দুর্নীতিতে যুক্ত সরকারি অফিসারদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করুক কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। অভিমতসহ নির্দেশ আদালতের। 

উল্লেখ্য, ২০০০-২০০১ থেকে শুরু করে ২০১৬-১৭ সাল পর্যন্ত থুতুকুড়ি, তিরুনেলভেলি এবং কন্যাকুমারী জেলায় ব্যাপক হারে বালি ও অন্যান্য খনিজ সম্পদ সমুদ্র সৈকত থেকে চুরির অভিযোগে ২০১৫ সালে জনস্বার্থ মামলা। চুরি হওয়া খনিজ সম্পদের মধ্যে মোনাজাইটের মতো খনিজ রয়েছে। যা দেশের পরমাণু নীতির সূত্রে বেআইনিভাবে সংগ্রহ করা নিষিদ্ধ। তামিলনাড়ু সরকার বিষয়টির তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করলেও সমস্যার সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ।  

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ভারত সরকারের জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ফরেন সিটিজেনশিপ রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্টের সেকশন-২ অনুযায়ী ৩১.১২.২০১৪ সালের আগে যাঁরা ভারতে এসেছেন, তাঁরা কেউ ফরেন সিটিজেনশিপ অ্যাক্টের আওতায় পড়বে না। বিচারপতি দেবাংশু বসাক আবেদনকারীর কোনও যুক্তি মানতে রাজি হননি।