নিজস্ব সংবাদদাতা: কারণ না জানালে গ্রেফতারি অবৈধ। সংবিধানের ২২(১) আর্টিকেল লঙ্ঘিত হলে আইনগত অন্যান্য বিধিনিষেধ থাকলেও জামিন দিতে হবে। নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের।
সংবিধানের আর্টিকেল ২২ (১) অনুযায়ী গ্রেপ্তারির কারণ জানার মৌলিক অধিকার লংঘন করা যায় না। স্পষ্ট এবং কার্যকর পদ্ধতিতে সেই কারণ অভিযুক্তকে জানাতে হবে। রিমান্ডে বা হেফাজতে নেওয়ার আগে ম্যাজিস্ট্রেটকে এই বিষয়ে নিজের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। এর অন্যথা হলে অভিযুক্তের অবশ্যই জামিন প্রাপ্য। আইনগত অন্যান্য বিধি নিষেধ থাকলেও। বিচারপতি অভয় এস ওকা ও বিচারপতি এন কোটেশ্বর সিং-এর অভিমত।
অভিযুক্ত যে ভাষা বোঝেন, সেই মতো তাঁকে গ্রেফতারের কারণ সম্পর্কে যথেষ্টভাবে অভিহিত করতে হবে এবং তাতে স্পষ্টতা থাকতে হবে। তাঁর সংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে না, তা নিশ্চিত করতে হবে। সংবিধানিক অধিকার ক্ষুন্ন হবার অভিযোগ উঠলে তার পাল্টা যুক্তি দেওয়ার ও প্রমাণ করার দায় তদন্তকারী অফিসারের। অন্যদিকে ম্যাজিস্ট্রেটকেও হেফাজতে নেওয়ার আগে নিশ্চিত হতে হবে, অভিযুক্তের সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়নি। জানিয়েছে আদালত।
গ্রেফতারি বেআইনি এবং গ্রেপ্তারির সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে করা অভিযুক্ত বিহান কুমারের আবেদন খারিজ পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে। গ্রেফতারের কারণ জানানো হয়নি বলে তোলা অভিযোগেও সাড়া দেয়নি হাইকোর্ট। সেই সূত্রে হওয়া আবেদনে হাইকোর্টের নির্দেশ খারিজ করে অভিযুক্তকে অবিলম্বে মুক্তির নির্দেশ।