নিজস্ব সংবাদদাতা: ভাইফোটা, ভারতের একটি প্রিয় উৎসব, ভাই এবং বোনের মধ্যে বন্ধন উদযাপন করে। ঐতিহ্যগতভাবে অনুষ্ঠান এবং উপহার দিয়ে উদযাপিত হয়, শহুরে এলাকায় এখন এই উৎসব কীভাবে উদযাপিত হয় সেখানে একটি পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। প্রযুক্তি এই রূপান্তরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
ভার্চুয়াল উদযাপন
পরিবারগুলি প্রায়শই শহর বা এমনকি দেশ জুড়ে ছড়িয়ে থাকে, ভার্চুয়াল উদযাপন সাধারণ হয়ে উঠেছে। ভিডিও কল ভাইবোনদের দূরত্ব সত্ত্বেও সংযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করে। জুম এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো প্ল্যাটফর্ম এই ভার্চুয়াল সমাবেশগুলির জন্য জনপ্রিয় পছন্দ।
ডিজিটাল উপহার
ডিজিটাল উপহারের প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ই-গিফট কার্ড এবং অনলাইন শপিং ভাউচার ঐতিহ্যবাহী উপহারের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই পরিবর্তন দাতা এবং গ্রহীতা উভয়ের জন্য সুবিধা এবং বিস্তৃত বিকল্প সরবরাহ করে।
সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ভাইফোটা কীভাবে উদযাপিত হয় তা প্রভাবিত করছে। অনেক ভাইবোন ইনস্টাগ্রাম বা ফেসবুকে তাদের মুহূর্তগুলি ভাগ করে, উৎসবটিকে আরও ব্যাপক দর্শকদের কাছে দৃশ্যমান করে তোলে। এই শেয়ারিং ব্যবহারকারীদের মধ্যে একটি সম্প্রদায়ের অনুভূতি তৈরি করে।
অনলাইন অনুষ্ঠান
কিছু পরিবার ঐতিহ্য বজায় রাখার জন্য অনলাইন অনুষ্ঠান গ্রহণ করছে। ওয়েবসাইটগুলি ভার্চুয়াল পূজা পরিষেবা প্রদান করে যেখানে পুরোহিতরা ভিডিও কলের মাধ্যমে সরাসরি অনুষ্ঠান সম্পাদন করেন। এটি বিশ্বের যেকোনো জায়গা থেকে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেয়।
ঐতিহ্যের জন্য অ্যাপ
বর্তমানে বেশ কয়েকটি অ্যাপ ভাইফোটার ঐতিহ্যবাহী দিকগুলি সংরক্ষণের উপর মনোযোগ নিবদ্ধ করে। এগুলি অনুষ্ঠান, রেসিপি এবং সাংস্কৃতিক গল্প সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে, যুব প্রজন্মকে তাদের শিকড়ের সাথে সংযুক্ত থাকতে সাহায্য করে।
ভাইফোটা উদযাপনে প্রযুক্তির সংযোজন বৃহত্তর সামাজিক পরিবর্তনকে প্রতিফলিত করে। শহুরে জীবনযাপন বিকশিত হওয়ার সাথে সাথে মানুষ সাংস্কৃতিক সংযোগ বজায় রাখার উপায়গুলিও বিকশিত হয়। প্রযুক্তি ঐতিহ্যের কিছু দিক পরিবর্তন করলেও এটি নতুন রূপে তাদের জীবিত রাখতেও সাহায্য করে।