সূর্যাস্তের পর মহিলা সাংসদদের আটক! বিতর্ক, উঠছে প্রশ্ন

মঙ্গলবার রাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও'ব্রায়ান, শান্তনু সেনদের পাশাপাশি দিল্লি পুলিশ আটক করে মহুয়া মৈত্র, দোলা সেনদের মতো মহিলা সাংসদ ও তৃণমূল নেত্রীদেরও।

author-image
Aniruddha Chakraborty
New Update
mn

ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে নয়া দিল্লির কৃষি ভবন থেকে আটক করা হয়েছে বিক্ষোভরত তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের। এদিন সন্ধ্যা ৬টায় কৃষি ভবনে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন বিভাগের রাষ্ট্রমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল তৃণমূল প্রতিনিধি দলের। তৃণমূলের অভিযোগ, তাদের তিন ঘণ্টা বসিয়ে রেখেও দেখা করেননি মন্ত্রী। বরং, পিছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছেন। এরপরই কৃষি ভবনে ধর্নারত তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের আটক করে কুইন্সওয়ের পুলিশ লাইনে নিয়ে যায় দিল্লি পুলিশ। কিছুক্ষণ পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হলেও, যেভাবে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের আটক করা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে দিল্লি পুলিশ। বিশেষ করে মহিলাদের যেভাবে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সূর্যাস্তের পর মহিলাদের আটক করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ মহুয়া মৈত্র।

আটক করে নিয়ে যাওয়ার পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় মহুয়া মৈত্র লেখেন, "আমরা সবাই এখন কুইন্সওয়ে ক্যাম্পে আটক হয়ে আছি। পুলিশ লাইনে সূর্যাস্তের পর মহিলা সাংসদদের আটক করে রাখা হয়েছে। কোনও নথিপত্রও নেই।”

উল্লেখ্য, ভারতীয় দণ্ডবিধিতে সূর্যাস্তের পর মহিলাদের আটক করা নিয়ে আলাদা কোনও নিয়ম না থাকলেও, মহিলাদের গ্রেফতার করা যায় না। ফৌজদারি বিধির ৪৬-এর ৪ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, অত্যন্ত ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি ছাড়া, কোনও মহিলাকে সূর্যাস্তের পরে এবং সূর্যোদয়ের আগে গ্রেফতার করা যাবে না। ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতেও মহিলা পুলিশ অফিসারকে লিখিত প্রতিবেদন জমা দিয়ে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছ থেকে পূর্বানুমতি নিতে হবে। মহিলা অফিসার ছাড়া কোনও মহিলাকে গ্রেফতার করা যাবে না। যাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে, তার দেহ স্পর্শ করার বিষয়েও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। 

hire