নিজস্ব প্রতিবেদন : হরিয়ানায় বিধানসভা ভোটের গণনা শুরু হওয়ার পর থেকেই রাজনীতির জগতের কার্যকলাপের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার, হরিয়ানা ও জম্মু-কাশ্মীরে ভোট গণনার প্রক্রিয়া চলছে, যেখানে দুটি বিধানসভায় মোট ৯০ জন নির্বাচিত বিধায়ক থাকতে হবে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য প্রয়োজন ৪৬টি আসন, তবে জম্মু ও কাশ্মীরে পাঁচ অনির্বাচিত বিধায়কের মনোনয়ন হলে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৪৯।
গণনার শুরুতে বিজেপি কিছুটা পিছিয়ে পড়ে, কিন্তু দ্বিতীয় ঘণ্টায় পদ্মশিবির তাদের অবস্থান শক্তিশালী করেছে। বর্তমানে তারা ৩৮টি আসনে এগিয়ে রয়েছে, যেখানে কংগ্রেস ৪৩টি আসনে অবস্থান করছে। এক্সিট পোলের ভিত্তিতে অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, হরিয়ানায় কংগ্রেস এক দশকের বিজেপি সরকারের পতন ঘটিয়ে ক্ষমতায় আসবে। যদিও এই বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলাফল সবসময় সঠিক হয় না, তাই নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সকলের নজর থাকবে।
হরিয়ানার জুলানা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কুস্তিগীর বিনেশ ফোগাট। গণনার প্রথম ঘণ্টার শেষে তিনি এগিয়ে রয়েছেন, যা কংগ্রেসের জন্য একটি ইতিবাচক সংকেত। ভোট গণনা চলাকালীন নানা রাজনৈতিক দলের মধ্যে পালাবদল ও অঙ্কের খেলা চলছে, এবং সমস্ত পক্ষের জন্য এই মুহূর্তটি গুরুত্বপূর্ণ। এখন দেখা যাচ্ছে, বিজেপির নেতৃবৃন্দ দলের অবস্থান মজবুত করার জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছেন। তারা চেষ্টা করছেন ভোটারের মনোযোগ আকর্ষণ করতে, এবং কংগ্রেসের এই দাপটকে চ্যালেঞ্জ জানাতে।
গণনা চলাকালীন সবার নজর থাকবে হরিয়ানা এবং জম্মু-কাশ্মীরের রাজনৈতিক অবস্থানের দিকে, কারণ এটি দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। ফলে, নির্বাচনের ফলাফল কি হতে পারে, তা নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে আলোচনা চলছে।