নিজস্ব সংবাদদাতা: হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনের জন্য কংগ্রেস এবং আপের জোটের আশা ধাক্কা খেয়েছে যখন আম আদমি পার্টি তার ২০ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। গত কয়েকদিন ধরেই দুই পক্ষই সমঝোতার কথা বলছিল। এ জন্য কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে। চুক্তির জন্য আজ পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধেছিল আম আদমি পার্টি। কোনো উদ্যোগ না দেখে আম আদমি পার্টি তাদের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে। আসন ভাগাভাগি নিয়ে দুজনের মধ্যে আলোচনা ভেস্তে গেছে। কংগ্রেসও হরিয়ানার জন্য সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে আলোচনা করছে।
তিন দফা আলোচনার পরে, কংগ্রেস আপকে পাঁচটি আসন দিতে রাজি বলে মনে হচ্ছে। তবে আপ বেশি আসনের দাবিতে অনড় ছিল। হরিয়ানার আপ সভাপতি ডাঃ সুশীল গুপ্তা সকালেই বলেছিলেন যে আজ যদি চুক্তি ঘোষণা না হয় তবে তিনি তাঁর প্রার্থী ঘোষণা করবেন। আপের রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংও একই কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে ফর্ম পূরণের শেষ তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর, তাই কেউ বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে পারে না।
হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে আম আদমি পার্টির সঙ্গে জোট করার ভাবনা ছিল রাহুল গান্ধীর। এর জন্য দল সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল, হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র হুডা, রাজ্যের ইনচার্জ দীপক বাবরিয়া এবং রাজ্য সভাপতি চৌধুরী উদয়বনের একটি কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটি আপের সাথে জোট চূড়ান্ত করছে। রবিবার দীপক বাবরিয়া এবং আপ নেতা রাঘব চাড্ডার মধ্যে একটি বৈঠকও হয়েছিল। আপ কংগ্রেসের কাছে ১০টি আসন চেয়েছিল, কিন্তু বলা হচ্ছে যে ৫টি আসনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটি সোমবারই ঘোষণা করা যেতে পারে আসলে, কংগ্রেস হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনের মাধ্যমে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের চেষ্টা করছে। দিল্লিতে শূন্যের কোঠায় পৌঁছেছে কংগ্রেস। এই হল দিল্লির অবস্থা, যেখানে কংগ্রেস ১৯৯৮ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিল। গত দুই নির্বাচনের পর থেকে দিল্লিতে খাতাও খুলতে পারেনি কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে, যদি হরিয়ানায় দুটি দলের মধ্যে জোট হয়, তাহলে কংগ্রেস 2025 সালে অনুষ্ঠিতব্য দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে জোটের জন্য আপকে চাপ দিতে সক্ষম হবে। আপ ও সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে আপস করে নিজেদের বড় ভাই হিসেবে দেখাতে চেয়েছিল কংগ্রেস। মহারাষ্ট্র ও বিহারে বিজেপি যেমন ভূমিকা পালন করেছে।