নিজস্ব সংবাদদাতা: দেশে ধর্মীয় ভাবাবেগ নিয়ে চর্চা নতুন কিছু নয়। আর সেই চর্চার মধ্যে খাদ্যাভ্যাস ভীষণ ভাবে গুরুত্ব পায়। এমনকি, সেই খাদ্যাভ্যাস নিয়ে রাজ্য-রাজনীতি তোলপাড়ও হয়ে যায় অনেক ক্ষেত্রে। এদিন ফের একবার সেই ধর্মীয় খাদ্যাভ্যাসই আলোচনায় উঠে এল।
সম্প্রতি বেগুসরাইয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং একটি নিদান দেন হিন্দু ভাইয়েদের। সেখানে তিনি বলেন, “হিন্দু ভাইয়েদের ‘ঝটকা’ মাংস খাওয়া উচিত। ‘হালাল’ মাংস খাওয়া হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্যে ধর্ম বিরোধী কাজ”।
এদিন সেই প্রসঙ্গেই মন্ত্রী বলেন, “আদিকাল থেকেই বলির প্রথা চলে আসছে। শ্যামা মন্দিরের ধর্মীয় আস্থাকে বলি প্রথা বন্ধ করতে বলা হয়েছে। আমি তাদের জিজ্ঞাসা করি যে তারা বকরিদ বন্ধ করতে পারে কিনা? বকরিদ যদি তাদের ধর্ম হয় তাহলে ‘ঝটকা’ প্রথাই আমাদের ধর্ম। আমি মুসলমানদেরকে সম্মান করি, তাদের ধর্মে এতটাই বিশ্বাস আছে যে তারা হালাল ছাড়া অন্য কোন মাংস খেতে পারে না। তাই আমি সনাতন ভাইদের অনুরোধ করছি তারাও যেন শুধু ‘ঝটকা’ মাংস খান। যদি না পান তবে খাবেন না। কিন্তু ধর্মের বিরুদ্ধে গিয়ে কোনও কাজ করবেন না। এটাই আমার অনুরোধ”।
এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো, ‘ঝটকা’ মাংস বলতে বোঝায় যে, এক ঝটকায় কোপ মেরে যে মাংস কাটা হয় তাঁকেই ‘ঝটকা’ মাংস বলা হয়। অর্থাৎ বলিপ্রথাতেই এমন মাংস পাওয়া যায়। আর মন্ত্রীর এই কথা যদি ধরা হয়, তাহলে দেশে পুনরায় ফিরতে পারে ‘বলিপ্রথা’!