Breaking: 'এক দেশ, এক নির্বাচন', নজরে ২৩ সেপ্টেম্বর

একযোগে নির্বাচন করলে জনগণের অর্থ সাশ্রয় হবে, প্রশাসনিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর চাপ কমবে এবং সরকারের নীতিগুলো আরও ভালোভাবে বাস্তবায়ন হবে।

author-image
SWETA MITRA
New Update
dew

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে  'এক দেশ, এক নির্বাচন' (One Nation One Election) কমিটি সম্পর্কে বড় মন্তব্য করলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এবং কমিটির চেয়ারম্যান রামনাথ কোবিন্দ (Ramnath Kovind)। তিনি আজ শনিবার বলেছেন, "এই কমিটির প্রথম বৈঠকটি হবে ২৩ শে সেপ্টেম্বর" 

 

২০১৮ সালে আইন কমিশনের তৈরি খসড়া সুপারিশে 'এক দেশ এক নির্বাচন'-এর কথা বলা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, লোকসভা বিধানসভা নির্বাচন যদি একসঙ্গে হয়, তাহলে দেশকে নির্বাচনী মোড থেকে বের করে উন্নয়নের দিকে মনোনিবেশ করা যেতে পারে। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকার সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডেকে 'এক দেশ এক নির্বাচন' নিয়ে আলোচনা বাড়িয়েছে। খসড়া আইন কমিশনের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, একযোগে নির্বাচন করলে জনগণের অর্থ সাশ্রয় হবে, প্রশাসনিক নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর চাপ কমবে এবং সরকারের নীতিগুলো আরও ভালোভাবে বাস্তবায়ন হবে। লোকসভা বিধানসভা নির্বাচন একযোগে অনুষ্ঠিত হওয়ায় দেশ ধারাবাহিক নির্বাচনের প্রক্রিয়া থেকে বেরিয়ে এসে উন্নয়ন-সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ডে মনোনিবেশ করতে সক্ষম হবে বলেও জানানো হয়।

আইন কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, একযোগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সংবিধান সংশোধন করা দরকার। একই সঙ্গে জনপ্রতিনিধিত্ব আইন, ১৯৫১-এর বিধানসংশোধনের দাবি জানানো হয়েছে, যাতে একই সঙ্গে উপনির্বাচনও অনুষ্ঠিত হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এক দেশ এক নির্বাচন বাস্তবায়িত হলে সংবিধানের অন্তত পাঁচটি অনুচ্ছেদ সংশোধন করতে হবে।

 বিশেষ বিষয় হল, ১৯৫১-৫২, ১৯৫৭, ১৯৬২ এবং ১৯৬৭ সালে দেশে একযোগে বিধানসভা লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তবে ১৯৬৮ ১৯৬৯ সালে কয়েকটি বিধানসভা নির্বাচন এবং ১৯৭০ সালে লোকসভা নির্বাচন ভেঙে দেওয়ার পরে পরিস্থিতি পরিবর্তিত হয়। ১৯৮৩ সালে ভারতের নির্বাচন কমিশন (ECI) একযোগে নির্বাচনের প্রস্তাব দেয়। এরপর আইন কমিশনও ১৯ সালের প্রতিবেদনে একটি নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে।

 

এদিকে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার এক দেশ, এক নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে।  দেশে একযোগে লোকসভা বিধানসভা নির্বাচনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই কমিটি সরকারের কাছে তাদের এক বিশেষ রিপোর্ট পেশ করবে বলে খবর। আগামী ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডেকেছে সরকার।